ফটিকছড়িতে স্ত্রী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. তোফায়েল ২৪ বছর পর র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। র্যাব সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ১৩ জুন ফটিকছড়ি উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করে মো. তোফায়েল আহমেদ। ওইদিন নিহত ভিকটিমের ভাই মো. জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নিহত ভিকটিমের স্বামী মো. তোফয়েল আহমেদকে আসামি করে ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামি মো. তোফায়েল আহমেদ আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। পরবর্তীতে আসামি তোফায়েল আহমেদ জামিনে মুক্তি হয়ে আদালতে আর হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়ে যান। পলাতক থাকা অবস্থায় আদালত আসামি মো. তোফায়েল আহমেদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে নিহত ভিকটিমের স্বামী তোফায়েল আহমেদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন এবং ২০১৬ সালে মামলাটি বিচারের জন্য চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত এই মামলার ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ৮ মে অভিযুক্ত মামলার আসামি তোফায়েল আহমেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডে দন্ডিত করে। রায় ঘোষণার পর উক্ত হত্যাকাণ্ডের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. তোফায়েল আহমেদকে র্যাব ১৪ মে রাত আড়াইটায় ফটিকছড়ি থানাধীন বাবুনগর এলাকায় নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। আসামি মো. তোফায়েল আহমেদ ফটিকছড়ি উপজেলার বাবু নগর গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের পুত্র। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার নিজ স্ত্রীকে হত্যা করার কথা অকপটে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়।












