গ্যাস সিলিন্ডারের কৃত্রিম সংকট তৈরি এবং রাইস কুকার, ইনডাকশন চুলা ও ইনফ্রায়েড চুলার মূল্যবৃদ্ধির দায়ে নগরীর পাঁচটি দোকানকে ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন।
গতকাল সোমবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। দৈনিক আজাদীকে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হওয়ায় গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই সংকট আরো কয়েকদিন বিদ্যমান থাকবে। এই সুযোগে একদল অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে গ্যাস সিলিন্ডারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। সাথে দাম বেড়ে যায় রাইস কুকার, ইনডাকশন চুলা ও ইনফ্রায়েড চুলার। ভোক্তাদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয় এবং জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, লাভ লেনের হাবিব ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা, এনায়েত বাজার মোড়ের জে এস ট্রেডিংকে ২০ হাজার টাকা এবং আরিফ ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গোলাম রসুল মার্কেটে ইনডাকশন চুলা ও রাইস কুকারের দাম বেশি রাখায় অপর দুটি দোকানকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মার্কেট কমিটিসহ সকল দোকানদারদের সতর্ক করা হয়েছে। গত রোববারও এমন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে উল্লেখ করে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, এই অভিযানেও কৃত্রিম সংকট তৈরিকারী ব্যবসায়ীদের জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। জেলা প্রশাসনের এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।