স্ত্রী মিতুর বন্ধু মাহবুবুলের আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ

ডা. আকাশের আত্মহত্যা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন চার্জশিটভুক্ত আসামি ও আকাশের স্ত্রী মিতুর কথিত বন্ধু ডা. মাহবুবুল আলম। একপর্যায়ে জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ২য় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ সালামত উল্লাহ শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন। মহানগর পিপি আবদুর রশীদ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ডা. আকাশকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে আজকে (গতকাল) ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকা আসামি মিতুর বন্ধু ডা. মাহবুবুল আলম আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আমরা এর বিরোধিতা করলে বিচারক তা আমলে নেন এবং তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

পিপি আরও বলেন, আদালতকে আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, ডা. আকাশ হত্যায় ডা. মাহবুবুল আলমেরও প্ররোচনা ছিল। এ মামলায় আকাশের স্ত্রী মিতু উচ্চ আদালত থেকে জামিনে গিয়ে বর্তমানে পলাতক।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ভোরে নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শরীরে বিষ প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেন আকাশ। আত্মহত্যার আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক ও প্রতারণার অভিযোগ করেন। এর প্রমাণ হিসেবে মিতুর সঙ্গে তার বন্ধুদের বেশ কিছু ছবি যুক্ত করেন আকাশ। একই দিন রাতে নগরীর নন্দনকানন এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে মিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ১ ফেব্রুয়ারি ডা. আকাশের মা জোবেদা খানম বাদি হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার মা শামীমা শেলী, বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, ছোট বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা এবং মিতুর কথিত বন্ধু ডা. মাহবুবুল আলম। এজহারভুক্ত আসামি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভারতীয় নাগরিক উত্তম প্যাটেলকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২০২৫ সালের শেষে বে টার্মিনালের কার্যক্রম চালু করার আশা
পরবর্তী নিবন্ধসামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ