স্ত্রী ও দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা

দন্ত চিকিৎসক আটক

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ৯ মে, ২০২২ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় এক নারী এবং তার দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রাম থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধারের পর ওই নারীর স্বামী আসাদুজ্জামান রুবেলকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সকাল ৭টার দিকে ওই গ্রামে গিয়ে দন্ত চিকিৎসক রুবেলের স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫), বড় মেয়ে ছোঁয়া আক্তার (১৬) ও ছোট মেয়ে কথা আক্তারের (১২) লাশ পান তারা। তিনজনের গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়েছিল। খবর বিডিনিউজের।

উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে রুবেল (৪০) পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক। বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার চেম্বার রয়েছে। তাদের বড় মেয়ে ছোঁয়ার আগামী বছর বানিয়াজুরী সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। আর ছোট মেয়ে কথা স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ত। তিনজনের লাশ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি বিপ্লব বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে ভোর রাতের কোনো এক সময় রুবেল তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে জবাই করেছে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। রুবেলকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়াল খান বলেন, রুবেল ও লাভলীর ভালোবাসার বিয়ে। রুবেল তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। আমরা যেটা জানি, রুবেল ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল, সে কারণে হতাশায় ছিল। এসব নিয়ে পারিবারিক কলহ বাড়ছিল। এর জেরে সে ভোররাতের দিকে স্ত্রী আর দুই মেয়েকে খুন করেছে বলে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেছেন।

বিবিসি জানায়, বালিয়াখোয়া ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, রুবেল রাস্তার পাশে শুয়েছিল। তার গ্রামের একজন তাকে এভাবে দেখে অন্যদের খবর দেয়। তারা তাকে ধরে পুলিশে দেয়। সে সময় তার একটু মতিভ্রম ছিল বলে জানিয়েছে লোকজন। সে রাস্তার মানুষজনকে বলেছে আমাকে আরিচার গাড়িতে তুলে দেন। তিনি জানিয়েছেন, এ রকম ঘটনা তিনি কোনোদিন দেখেননি। গ্রামের মানুষজন এই ঘটনায় স্তম্ভিত। এই ঘটনায় বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডের মামলা করেছেন অভিযুক্তের শ্বশুর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগোঁয়াছি বাগান টার্গেট রেখেই যাচ্ছে নতুন প্রস্তাবনা
পরবর্তী নিবন্ধএসএসসির ফরম পূরণের সময় বাড়ল