গোঁয়াছি বাগান টার্গেট রেখেই যাচ্ছে নতুন প্রস্তাবনা

চীনের অর্থায়নে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল ।। একই জায়গায় দেয়া সেই প্রস্তাবও বাতিল ।। অন্যত্র জায়গা নির্ধারণে ফের চিঠি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৯ মে, ২০২২ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বাতিল হওয়া ১শ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপন প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত করা আগের জায়গাতেই (হাসপাতালের পিছনের অংশে) বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল স্থাপনে পুনরায় প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছিল। তবে একই জায়গায় দেয়া সে-ই প্রস্তাবনাও বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবনা বাতিলের বিষয়টি অবহিত করে প্রকল্পটির জন্য অন্যত্র জায়গা নির্ধারণে ফের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গত ২৭ এপ্রিল এ সংক্রান্ত চিঠি চমেক হাসপাতাল পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) ডা. আফরিনা মাহমুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বিকল্প সাইট (ভূমি) নির্ধারণপূর্বক পুনরায় প্রস্তাব প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।

এদিকে, চিঠি পাওয়ার পরপরই (২৮ এপ্রিল) বিকল্প সাইট (ভূমি) নির্ধারণসহ নতুন প্রস্তাবনা প্রস্তুতে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন হাসপাতাল পরিচালক। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমাকে আহ্বায়ক এবং বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমদকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাজিব পালিত, গণপূর্ত বিভাগের (ইমারত-১) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাহেদুন নবী চৌধুরী, হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (জেনারেল) ডা. মঈন উদ্দিন মাহমুদ ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামকে কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে সাইট নির্ধরাণসহ প্রস্তাবনা মোটামুটি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব ডা. রফিক উদ্দিন আহমদ।

কমিটির প্রস্তুতকৃত প্রস্তাবনায় দেখা যায়, প্রস্তাবিত বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে চারটি বিকল্প সাইট নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব সাইটের মধ্যে রয়েছে- হাসপাতালের আওতাভূক্ত চট্টেশ্বরী সড়কের পার্শ্ববর্তী গোঁয়াছি বাগান এলাকা, চট্টেশ্বরী সড়কের প্রধান ছাত্রাবাসের উত্তর পার্শ্বে খালি জায়গা, হাসপাতালের পিছন দিকে অঙিজেন প্লান্ট সংলগ্ন খালি জায়গা ও হাসপাতালের এনসিলিয়ারি ভবনের পশ্চিম পার্শ্বের (ডা. মিজান হোস্টেলের উত্তর দিকে) খালি জায়গা। তবে প্রথম দুটি সাইট (গোঁয়াছি বাগান ও প্রধান ছাত্রাবাসের পার্শ্ববর্তী) হাসপাতাল থেকে কিছুটা দূরে হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা রয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল সংলগ্ন দুটি সাইটে জায়গার পরিমাণ পর্যাপ্ত নয় বলে প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ-কালের মধ্যেই এ প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান। তবে প্রস্তাবনায় চারটি সাইট উল্লেখ করা হলেও হাসপাতালটি স্থাপনে গোঁয়াছি বাগান এলাকাকেই বেছে নিতে হতে পারে বলে মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলছেন, হাসপাতাল এলাকায় নতুন ১৫ তলা ক্যান্সার ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। চমেক হাসপাতাল টু নামে একটি ২০ তলা ভবন নির্মাণের জন্যও জায়গা নির্ধারণ হয়ে গেছে। হাসপাতালের পিছন দিকে জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হবে আধুনিক রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং সেন্টারের ৭ তলা ভবন। এনসিলিয়ারি ভবনের পার্শ্ববর্তী ৬ তলা একটি মাল্টিপারপাস বিল্ডিং নির্মাণের কাজও শুরুর অপেক্ষায়। এর বাইরে নতুন ভবন নির্মাণের মতো জায়গা হাসপাতাল কম্পাউন্ডে নেই। যার কারণে নতুন কোনো ভবন করতে হলে আল্টিমেটলি আমাদের গোঁয়াছি বাগান এলাকার দিকেই যেতে হবে। বার্ন হাসপাতাল স্থাপনে নতুন প্রস্তাবনায় আমরা চারটি সাইট উল্লেখ করছি। তবে হাসপাতাল (সংলগ্ন) কম্পাউন্ডে যে দুটি সাইট উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে জায়গার পরিমাণ অপ্রতুল। বিপরীতে গোঁয়াছি বাগান এলাকায় পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। মূল হাসপাতাল ভবন থেকে একটু দূরে হলেও সেখানে তেমন সমস্যা হবে বলে আমরা মনে করছি না। মোটকথা, বার্ন হাসপাতাল স্থাপনে গোঁয়াছি বাগান এলাকাকে টার্গেট রেখেই নতুন প্রস্তাবনা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ আলাদা অবকাঠামোতে চট্টগ্রামে একশ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করে চীন সরকার। আগ্রহ প্রকাশের পর চীনা একটি প্রতিনিধি দল প্রথম দফায় ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চমেক হাসপাতাল এলাকায় সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করে। চীন সরকারের ৯ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলকে নিয়ে চট্টগ্রামে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সারাদেশে বার্ন চিকিৎসায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পাওয়া ডা. সামন্ত লাল সেন। ওই সময় হাসপাতালের পিছনের অংশে খালি জায়গা ও গোঁয়াছি বাগান এলাকাসহ বেশ কয়টি স্থান দেখানো হয় দলটিকে। এর মধ্য থেকে হাসপাতালের পিছনের অংশে খালি জায়গায় বিশেষায়িত এ ইউনিট গড়ে তুলতে চীনা প্রতিনিধি দলটি আগ্রহ প্রকাশ করে। হাসপাতাল প্রশাসনও তাতে সায় দেয়। এর প্রেক্ষিতে চীনা দলটি দেশে গিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা অবহিত করে। চীন সরকারও তাতে সম্মতি জানায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর চিহ্নিত এ জায়গা ঘিরে বিশেষায়িত বার্ন ইউনিটের অবকাঠামো নির্মাণের ডিজাইনও শেষ করে চীনা দলটি। পরে ২০১৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ২য় দফায় চমেক হাসপাতাল পরিদর্শনে আসলে নতুন তথ্য পায় তাঁরা। হাসপাতাল প্রশাসন থেকে তাঁদের জানানো হয়- চিহ্নিত ওই জায়গাটি এর আগে থেকেই একটি আধুনিক রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং সেন্টার স্থাপনের জন্য চিহ্নিত করা।

আর সেটি নির্মাণ করা হবে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে। জাইকার প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন- ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ডিপিপি চূড়ান্ত হয়েছে। একনেকেও সেটি অনুমোদন করা হয়েছে। তাই চিহ্নিত এ জায়গা পরিবর্তন করা কঠিন। সেটা হলে পুনরায় নতুন করে ডিপিপি তৈরি ও সেটি আবারো একনেকে পাস করাতে হবে। আর সেটি সময় সাপেক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে খালি জায়গাটিতে দুই পক্ষকে আলাদা ভাবে অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তাব দেয় চমেক হাসপাতাল প্রশাসন। গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা জানান- ওই খালি অংশটিতে মোট ২ হাজার ৫০৮ বর্গমিটার জায়গা রয়েছে। যেখানে জাইকার প্রকল্পটির অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪৫২ বর্গমিটার জায়গা প্রয়োজন। এই অংশটুকু বাদ দিলে আর ১ হাজার ৫৬ বর্গমিটার জায়গা অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু বার্ন ইউনিটের অবকাঠামোর জন্য অন্তত দেড় হাজার বর্গমিটার জমির প্রয়োজন বলে জানায় চীনা প্রতিনিধি দল। ফলে ওই অংশে জায়গা সংকট দেখা দেয়।

সবমিলিয়ে একই জায়গায় দুই প্রকল্প ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত এ সংকট সৃষ্টি হয়। যা প্রথমে স্থানীয় ভাবে এবং পরে স্বাস্থ্য অধিদফতর-মন্ত্রণালয়ের বৈঠকেও এ সংকটের সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। এ সংকট নিরসনে শুরু থেকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন ডা. সামন্ত লাল সেন। পরবর্তীতে চীনা প্রতিনিধি টিম ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আরো কয়েক দফা চট্টগ্রামে আসেন তিনি। কিন্তু জটিলতা কাটেনি। প্রকল্পটির জন্য যথাযথ স্থান নির্ধারণ করে না দেয়া এবং দীর্ঘ সময়েও যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় সর্বশেষ একশ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপনের ওই প্রকল্পটি বাতিল করার কথা জানায় চীন সরকার। তবে এক দফায় বাতিল করলেও ২য় দফায় আরো একটি প্রস্তাব দেয় দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। বিশেষায়িত ইউনিটের পরিবর্তে চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল স্থাপনে আগ্রহের কথা জানায় দেশটি। আর সেটি হবে চীন সরকারের শতভাগ অনুদান সহায়তায়। চীনের প্রস্তাব অনুসারে চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতালটির নাম হবে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’। চীনের ২য় দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিশেষায়িত এ হাসপাতাল স্থাপনের লক্ষ্যে জায়গা নির্ধারণের জন্য চট্টগ্রাম জেলাপ্রশাসনে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) ডা. আফরিনা মাহমুদের স্বাক্ষরে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এ চিঠি ইস্যু করা হয়। চট্টগ্রামের জেলাপ্রশাসক বরাবর প্রদত্ত এ চিঠিতে ‘বার্ন ইউনিট অব চিটাগাং মেডিকেল কলেজ হসপিটাল’-এর পরিবর্তে চীন সরকারের অনুদান সহায়তায় চট্টগ্রামে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’ নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করে তা চিঠির মাধ্যমে জানাতে অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে ওই বছরের (২০২০ সালের) ১৭ ডিসেম্বর বিশেষায়িত হাসপাতালটি স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত কয়েকটি জায়গা পরিদর্শনে চট্টগ্রামে আসেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তৎকালীন সচিব আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেন। ওই সময় চমেক হাসপাতালের পিছনে বাতিল হওয়া আগের প্রকল্পটির জন্য চিহ্নিত ওই জায়গাটি-ই পুনরায় প্রস্তাব করে চমেক হাসপাতাল প্রশাসন। স্বাস্থ্যের সচিব ও ডিজিসহ সংশ্লিষ্টরা ওই জায়গাটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে চমেক হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, হাসপাতালের তৎকালীন উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্যের ডিজি পরিদর্শন করে যাওয়ার পর এতদিন বিষয়টি ঝুলে ছিল। তবে একই জায়গায় দেয়া সে-ই প্রস্তাব গত মাসে (এপ্রিলে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাতিল করেছে।

ওই জায়গাটি জাইকার অর্থায়নে আধুনিক রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং সেন্টার স্থাপনের জন্য আগে থেকেই নির্ধারিত থাকায় এ প্রস্তাবনা বাতিলের কথা জানায় মন্ত্রণালয়। একই সাথে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতালের জন্য অন্যত্র জায়গা নিধারণ পূর্বক পুনরায় প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনাও দেয়া হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। গত ১০ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব নুরুন নাহারের স্বাক্ষরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল স্থাপনের লক্ষ্যে নতুন সাইট নির্ধারণ করে পুনরায় প্রস্তাবনা পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে চমেক হাসপাতাল পরিচালককে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জানতে চাইলে সারাদেশে বার্ন চিকিৎসায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পাওয়া ডা. সামন্ত লাল সেন গতকাল আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতালটি স্থাপনে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নতুন জায়গার প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। জায়গার বিষয়টি দেখতে তিনি আমাকে পুনরায় চট্টগ্রামে যেতে বলেছেন।

হাসপাতালের পক্ষ থেকে নতুন প্রস্তাবনাটি আসুক। চীন সরকারের প্রতিনিধিসহ তখন না হয় আবার চট্টগ্রামে যাওয়া যাবে। তবে চীনা টিমও এখন অনেকটা নমনীয় জানিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আগে পছন্দ করা জায়গাটি নিয়ে তাদের অবস্থান অনেকটা অনঢ় ছিল। তবে সে অবস্থান থেকে এখন তারা অনেকটাই সরে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতালটি স্থাপনে তারা এখনো যথেষ্ট আগ্রহী। তারা আমাকে বলেছেন, নতুন জায়গা দেখালে তারা সেটি দেখবেন। যার কারণে চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল স্থাপনের আশা এখনো ছাড়ছেন না বলেও জানালেন ডা. সামন্ত লাল সেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাংবাদিকরা বাড়াবাড়ি করছে
পরবর্তী নিবন্ধস্ত্রী ও দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা