সৌদি আরবে যাওয়া হলো না ফখরুদ্দিনের

১৬ দিন অচেতন থাকার পর মৃত্যু

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

সৌদি আরবে যাওয়া হলো না প্রবাসী মো. ফখরুদ্দিনের (৩৫)। এর আগেই তিনি পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। দ্রুতগামী মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হওয়া মোটরসাইকেল আরোহী সৌদি প্রবাসী মো. ফখরুদ্দিন ১৬ দিন অচেতন থাকার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত ৬ নভেম্বর রাতে সাতকানিয়ার চারা বটতল এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আহত হওয়ার পর গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত ফখরুদ্দিন সাতকানিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের গোয়াজরপাড়ার আবদুল মাবুদের পুত্র। ফখরুদ্দিন আগামী মাসের ১ম সপ্তাহে সৌদি আরবে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গত ৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রবাসী মো. ফখরুদ্দিন (৩৫) ও তার বন্ধু লোহাগাড়ার পুঠিবিলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পুঠিবিলা তাঁতীপাড়ার আজিজুর রহমানের পুত্র মো. শফিকুল ইসলাম (৩৬) মোটরসাইকেলযোগে সাতকানিয়ার কেরানীহাট থেকে লোহাগাড়ায় যাচ্ছিলেন। চট্টগ্রাম-কঙবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়াস্থ চারা বটতল এলাকায় পৌঁছার পর দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ফখরুদ্দিন ও শফিকুর রহমান মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে সাতকানিয়ার কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত মো. ফখরুদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহতের জেঠাতো ভাই মো. ওসমান গণি জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ফখরুদ্দিনকে প্রথমে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৬ দিন অচেতন থাকার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে মৃত্যু হয়। দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রব জানান, ঘাতক মাইক্রোবাসটি ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপিছিয়ে গেল ওসি প্রদীপ ও স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে চার্জগঠন
পরবর্তী নিবন্ধসাম্বার পরিবারে নতুন অতিথি