সোশ্যাল মিডিয়ায় তালা মারার ক্ষমতা বিটিআরসির নেই

| মঙ্গলবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট অপসারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ‘অসহায়ত্বের’ কথা স্বীকার করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইচ্ছা করলেই কানো কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে পারে না। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে সোশ্যাল মিডিয়া, কন্টেন্ট ও আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
মন্ত্রী বলেন, অনেক জায়গায় অসহায়ত্ব ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। নানা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অপরিহার্য হয়ে উঠেছে, তেমনি অপরাধগুলোও বাড়ছে। এক সময় বিটিআরসি আইএসপি ও টেলকোগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত, এছাড়া আর কিছু করতে পারত না। বর্তমানে ওয়েবসাইটগুলো বাংলাদেশের সীমানায় বন্ধ করতে পারি। পর্নোাগ্রাফির সাইট, জুয়ার সাইট যখনই পাওয়া যাচ্ছে বন্ধ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাকি বিষয়গুলোতে আমরা এক ধরনের অসহায়ত্বে আছি, তা হলো সোশ্যাল মিডিয়া, আমরা তাদের কৃপার ওপর নির্ভরশীল। তারা তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডে কাজ করে, তারা তাদের মতো করে কাজ করে। তারা কথাবার্তা শোনে না, তবে এর আগে আরও খারাপ ছিল। ফেইসবুকের সাথে আমাদের নিয়মিত কথাবার্তা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত ভিডিও, ছবি অপসারণে বিটিআরসির ভূমিকা নিয়ে রোববার উষ্মা প্রকাশ করে হাই কোর্ট। তার একদিন পর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আদালতের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আদালত কী বক্তব্য দিয়েছে তা মিডিয়াতে দেখেছি। আদালতের বক্তব্যের জন্য আমরা এ সংবাদ সম্মেলন করিনি, বিটিআরসি কী পারে আর না পারে সেজন্য এ সংবাদ সম্মেলন করেছি। আমাদের অবস্থান আমরা তুলে ধরেছি।
বিটিআরসির ক্ষমতার বিষয়টি বোঝার আহ্বান জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, যারা ডিজিটাল অপরাধ নিয়ে আইন আদালতের কাছে যান, তারা অন্ততপক্ষে আমাদের অবস্থাটা বুঝবেন। সেই পরিস্থিতে আমাদের, বিটিআরসির তালা মারার কতটা সক্ষমতা আছে তা বুঝতে হবে। যে জায়গায় কাজ করার ক্ষমতাই রাখি না, সেখানে দায় দিলে আমার উপর অবিচার করা হবে। ডিজিটাল অপরাধের পরিধি বাড়ছে মন্তব্য করে সেসব দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার কথা বলেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, মহাশূন্যে কেউ ঘুড়ি উড়াতে চায়, তাহলে যে কেউ উড়াতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সুতা কাটার বিষয় বিটিআরসির হাতে নেই। ফেইসবুক ও ইউটিউবের সহযোগিতা ছাড়া কিছু করতে পারি না। তিনি বলেন, সব সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর কনটেন্ট নজরদারি করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই সক্ষমতা তৈরি হলে আমরা সব সময় নজরদারি করতে পারব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আরও ৬৫ মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধস্কুলের সামনে মায়েদের আড্ডা বন্ধ হচ্ছে