সেমিফাইনালের রোমাঞ্চ শুরু

আজ মুখোমুখি ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ১০ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:০১ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব ক্রিকেটে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে যেন অঘোষিত এক শত্রুতা রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৯ এর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের পর। দুর্দান্ত সে ফাইনালে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংলিশরা। পরে অবশ্য সে ফাইনাল নিয়ে আনা আলোচনা এবং সামলোচনা হয়েছে। মাঝখানের প্রায় দুই বছরে প্রতিশোধের তেমন সুযোগ পায়নি নিউজিল্যান্ড। যেহেতু এই সময়ে আইসিসির কোন বিশ্ব আসর ছিল না। তবে এবার সুযোগ এসেছে সে প্রতিশোধ নেওয়ার। সে সাথে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যাওয়ারও সুযোগ এসেছে কিউইদের সামনে। অপরদিকে ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরের শিরোপা জেতা ইংল্যান্ডও চাইবে তৃতীয়বারের মত ফাইনালে যেতে এবং দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিততে। তাই দুদলের লড়াইটা যে সেয়ানে সেয়ানে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আবুৃধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আজ নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই দুই দলের অবস্থান প্রায় একই। গ্রুপ পর্বে দুদলই একটি করে ম্যাচে হেরে সেমিফাইনালে এসেছে। যদিও ইংল্যান্ড একটি ম্যাচে হারলেও রান রেটের ব্যবধানে গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনালে আসে। ইংল্যান্ড একমাত্র ম্যাচটি হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। সমান পয়েন্ট হওয়া সত্ত্বেও রান রেটের হিসেবে বাদ পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অপরদিকে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের কাছে হেরে গ্রুপ রানার্স আপ হিসেবে নিউজিল্যান্ড এসেছে সেমিফাইনালে। প্রথম সেমিফাইনালে দুদলেরই লক্ষ্য একই। ফাইনাল নিশ্চিত করা। গ্রুপ পর্বে দুদলই খেলেছে দুর্দান্ত ক্রিকেট। দুদলের জন্যই গ্রুপের শেষ ম্যাচটি ছিল গুরুত্বপূর্ন। যেখানে নিউজিল্যান্ড এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছে ভারত এবং আফগানিস্তানকে বিদায় করে। অপরদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইংল্যান্ড আরেকটু বড় ব্যবধানে হারলে বিদায় নিতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে।
গ্রুপ পর্বে দুদলই খেলেছে দুর্দান্ত ক্রিকেট। দুদলের ব্যাটিং এবং বোলিং বলতে গেলে প্রায় সমান। যদিও সেমিফাইনালের আগে ইংলিশরা খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে জেসন রয়ের বিদায়ে। তাছাড়া জস বাটলার, অধিনায়ক মরগ্যান, জনি বেয়ারেস্টো, ডেভিড মালানরা রয়েছে বেশ ভাল ফর্মে। আর বল হাতে দুই ইংলিশ স্পিনার মঈন আলি এবং আদিল রশিদ প্রতিপক্ষের জন্য বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টেও জর্ডান, উড, ওকসরাও কম যান না। অপরদিকে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংটা একেবারেই জমাট বাধা। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে মার্টিন গাপটিল, কনওয়ে, ফিলিপ, মিচেলরা চুরমার করে দিতে পারে যেকোন দলের বোলিং। স্পিন বিভাগে ইশ শোধি একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছে কিউইদের। আর দুই অভিজ্ঞ ডেসার ট্রেন্ট বোল্ট এবং টিম সাউদিতো রয়েছেই। সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে দুদলের রয়েছে দুজন দক্ষ কান্ডারী। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুদলের লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়ে ইংল্যান্ডই। দুদলের ২১ দেখায় ১২টি জয় ইংলিশদের। ৭টি জয় কিউইদের। টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে এক নম্বর দল ইংল্যান্ড আর চার নম্বর দল নিউজিল্যান্ড। যদিও মাঠের লড়াইয়ে এই র‌্যাংকিং তেমন কোন প্রভাব ফেলে না। মাঠের লড়াইটা আসল। তাই এখন দেখার বিষয় ১৪ নভেম্বর ফাইনালে জায়গা করে নেয় কারা। ইংল্যান্ড নাকি নিউজিল্যান্ড।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগবেষক ও বিজ্ঞানী তৈরির স্বপ্ন
পরবর্তী নিবন্ধ‘আমার তো সব শেষ’