সেই নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার পথেই হাঁটছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

| শুক্রবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি সেই নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার পথেই হাঁটছে। এই পথে হেঁটে তাদের কোনো লাভ হবে না।
তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, ২০১৮ সালেও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এখনও তারা একই পথে হাঁটছে। এই পথে হেঁটে বিএনপির কোনো লাভ হবে না। রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শরৎকালীন পর্বের (ফল সেমিস্টার) নবীনবরণ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। খবর বাসসের।
বিএনপির সাম্প্রতিক মিছিল-সমাবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা গত ক’দিন ধরে দেখছি বিএনপি বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, লোহার রড নিয়ে মিছিল করছে। তারা অতীতে জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, গতকালও মুন্সিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। ফলে সহজেই অনুমেয় এখন তারা নিজেরা আতংকিত এবং তারা আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি জানে যে জনগণ তাদের সাথে নেই। এমনকি তাদের প্রান্তিক কর্মীরাও তাদের সাথে নেই। তাদের কর্মসূচি শুধু ঢাকা এবং কিছু কিছু শহরভিত্তিক। গ্রামেগঞ্জে তাদের কর্মীদের কোনো সাড়া নেই। কারণ নেতাদের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। এজন্য তারা নিজেরা আতংকিত। আর জনগণ তাদের কাছ থেকে সরে গেছে, সেটি তারা ভালো করেই জানে এবং বুঝে। সেজন্য তারা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি কোনো এলাকায় বিশৃক্সখলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সেই ব্যবস্থা মাঝে মধ্যে গ্রহণ করে যখন তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। সে কারণে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে, আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা নিজেদের সমাবেশ ভন্ডুল করেছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ অবস্থায় আমাদের দলের কর্মীদের আমরা সতর্ক পাহারায় থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি যাতে কেউ জনগণের ওপর হামলা পরিচালনা করলে এবং জনগণ প্রতিরোধ করলে তাদের সাথে আমাদের দলও সহায়তা করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহোটেল আগ্রাবাদের ৫০ বছর
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬