প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি শুধু নিজেকেই আলোকিত করে না, সমাজকেও আলোকিত করে তোলে। তবে শুধু শিক্ষা অর্জন করেই সুন্দর জীবন গঠন করা যায় না, এর সাথে প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে মানুষ অনেক বাধা, সমস্যা ও অভাবের মধ্যেও নিজের লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। নেতিবাচক চিন্তার কারণে মানুষের ভিতরের গুণটি বিকশিত হতে পারে না। মানুষকে নতুন উদ্যমে কাজ করতে বাধা দেয়। তাই প্রত্যেকের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা অবশ্যই প্রয়োজন। প্রথমত সবাইকে সব কিছুর মধ্যে ইতিবাচক গুণটি খুঁজে বের করতে হবে। সবাইকে ভালোবাসতে হবে। মনকেও ভালো কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। প্রতিবেশীর প্রতি রাগ ক্ষোভ জমিয়ে রাখলে মনটা সবসময় নেতিবাচক চিন্তায় ভরে থাকবে। কখনই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে না। দ্বিতীয়ত, কোনো কাজ পরে করার জন্য ফেলে রাখা যাবে না। তৃতীয়ত, যার যতটুকু আছে তার প্রতি সন্তুষ্ট এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। যা আছে তার গুরুত্ব অনুধাবনপূর্বক তাকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। চতুর্থত, সবসময় নিজের মন-মেধাকে সজীব রাখতে হবে। আর সজীব রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সবসময় নতুন কিছু শেখা। জীবনে উন্নতির জন্য এটা খুবই প্রয়োজন। পঞ্চমত, সবসময় নেতিবাচক মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রতিটি মানুষ তার ঘনিষ্ঠ মানুষ এবং পাশ্ববর্তী পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়। এর জন্য সবসময় উত্তম সঙ্গী নির্বাচন করতে হবে এবং নেতিবাচক সঙ্গ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। ষষ্ঠত, নিজের কাজকে প্রাণপণে ভালোবাসতে হবে। যে কাজই হোক না কেন, সেই কাজটিকে আপন করে নিতে হবে। সপ্তমত, প্রতিদিনের শুরুটা করতে হবে ইতিবাচক চিন্তা দিয়ে। সকালটা কাজে লাগাতে পারলে জীবনটাই বদলে যাবে। জীবনকে সফল, সুন্দর ও আনন্দময় করে গড়ে তুলতে শুধু শিক্ষা নয়, চাই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। ইতিবাচক মনোভাবের এই বিষয়গুলো নিয়মিত অনুশীলনের মধ্য দিয়ে প্রতিটি মানুষ সমাজে একজন সফল মানুষ হিসেবে আত্মমর্যাদা লাভ করতে পারবে।