চাদাঁবাজি এক ঘৃণ্যতম অপসংস্কৃতি

সাইদুন্নিছা তোহফা | মঙ্গলবার , ১৭ মে, ২০২২ at ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

রাজধানী ঢাকা থেকে বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ও চাঁদাবাজি আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যাপক এই চাঁদাবাজির শতকরা আশি ভাগ শিকার হলো ব্যবসায়ীরা। চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে, ব্যবসায়ীদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এক পর্যায়ে চাঁদা না পেয়ে দুর্বৃত্তরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা বাসাবাড়িতে হামলা, লুটপাট এবং কুপিয়ে হত্যা করছে ব্যবসায়ীদের। চাঁদাবাজদের হাতে ভয়ানক সব অস্ত্র থাকায় হত্যা, গুম, অপহরণ তাদের কাছে যেনো ওয়ান টুর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও, দেশের স্বল্পপাল্লা ও দূরপাল্লার পরিবহনে চাঁদাবাজির ঘটনা ও দীর্ঘদিনের। এমনকি ফেরি ঘাটে ও চাঁদাবাজি এখন নিত্যাদিনকার ঘটনা। আর এ দায়ভার পুরোটাই বহন করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কেননা, পরিবহন খাতের এই চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের পরিবহন ব্যয় দ্বিগুণ বাড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম, যা বহন করতে হয় সাধারণ মানুষকে। পরিবহন ও ব্যবসা খাতে নিরাপত্তা আনতে চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। তরুণ সমাজকে চাঁদাবাজির মতো সমাজবিরোধী কাজ থেকে দূরে রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিতে হবে। সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ ব্যাপারে আরও আন্তরিক হতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধে সরকার, প্রশাসন সহ সকল রাজনৈতিক দল জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবজ্রপাতে প্রাণহানি এড়াতে সচেতনতার বিকল্প নেই
পরবর্তী নিবন্ধসুন্দর জীবন গঠনে শুধু শিক্ষা নয়, চাই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি