সুনীতি ভূষণ কানুনগো’র প্রবজ্যা

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী | শুক্রবার , ১৮ জুন, ২০২১ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

একজন সাধকের গল্প শোনাতে চাই। যিনি তাঁর সমগ্র জীবন বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প-সাহিত্য-দর্শন-ধর্ম তাঁর সৃজনশীলতায় প্রকাশে ব্রতী থেকেছেন। ইতিহাসের গবেষণায়, চর্চায়, সাধনায় তাঁর প্রত্যেকটা মূল্যবান সময়কে কাজে লাগিয়েছেন। তাঁর অজস্র মৌলিক গ্রন্থরাজি তো সেই কথায় বলে।
তাঁর গ্রন্থের খোঁজে তাঁর চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গী বাজারের ভাড়া বাসায় আসেন ক্যামব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক যুক্তরাজ্য নিবাসী পালো টিনটি (Paola Tinti) । ড. কানুনগোর লেখা অ History of Chittagong Vol-1পড়ার পর Vol-11’র খোঁজে তাঁর কাছে ছুটে আসা। পৃথিবীর অনেক ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে তাঁর বই সংগৃহীত হয়েছে। ইতিহাসের আকর হয়ে আছে তাঁর মূল্যবান মৌলিক গ্রন্থগুলো।
প্রত্যেকটি সময়, মুহূর্তকে অনুশীলন আর ধ্যানের ভেতর যাপন করে চলেছেন তিনি। বইকে চিরন্তন সঙ্গী করেছেন। কাগজ-কলমকে নিয়ে লেখার টেবিলে থেকেছেন। একজন সন্ত’র জীবনই যাপন করে চলেছেন, এই ছিয়াশি বছর বয়সের মানুষটি।
আমার খুব ইচ্ছে তাঁকে নিয়ে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের। তিনি আমাকে অনুমতি দিয়েছেন আমার এই আরাধ্য কাজটি করবার।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাসের পাঠ নিয়ে এমএ-র সনদ নিয়ে ১৯৬০ সালে বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ায় নিজ পিতৃপুরুষের ভূমিতে ফিরে আসেন তিনি। তখন তাঁর আত্মীয় পরিজনদের অনেকেই মাতৃভূমি ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছিলেন পশ্চিমে। সেই সময়ের অতি সাধারণ বিষয় পূর্ব ছেড়ে পশ্চিম অভিমুখে ছোটা। পূর্বে তখন আশা ও নিরাপত্তার অভাব। রেডক্লিফ সাহেব ভারতের বুকে ছুরি চালিয়ে ভারতকে দ্বিখণ্ডিত করেন। তাঁর পেন্সিলে আঁকা ভৌগোলিক সীমানা পূর্ব বাংলার সনাতন ধর্মাবিলম্বীদের নিজভূমে পরবাসীতে পরিণত করে। পূর্ব পুরুষের শত বছরের পুরনো ঘর, ভিটে মাটি সব ছেড়ে পাড়ি দেয় অজানা এক দেশে। একইভাবে পশ্চিম থেকে সংখ্যালঘু মুসলমানরা ছুটে আসে পূর্বে। কানুনগোপাড়ার সেই তরুণ সেই স্রোতে ভেসে যাননি। কোনো ভয় তাঁকে টলাতে পারেনি। কোনো বড় স্বপ্ন তাঁকে ছুটিয়ে নিতে পারেনি। সেই কলকাতা নগরীতে তিনি গেলেন না। গেলে কি ভালো করতেন? তিনি এই মাটির সন্তান। জন্মভূমির মায়া তাঁকে জড়িয়ে রাখে, তাঁকে ছাড়তে পারেননি কোনভাবেই। এই মাটিতেই জীবন অতিবাহিত করে গেলেন।
২৫ অক্টোবর ১৯৩৬। প্রধান শিক্ষক পুলিন বিহারী কানুনগো ও সুচারুপ্রভা কানুনগোর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সেই ঋণ অক্ষরে অবিনশ্বর করে রাখলেন ‘বাংলার ইতিহাস প্রাচীন যুগ’ গ্রন্থটি বাবা মাকে উৎসর্গের মাধ্যমে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়া গ্রামেই কাটে তাঁর শৈশব ও কৈশোর। উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে কলকাতা গমন করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভ করে নিজ গ্রামে ছুটে আসেন। স্বগ্রামে বিখ্যাত স্যার আশুতোষ কলেজে অধ্যাপনায় যোগদানের মাধ্যমে তাঁর কর্ম জীবন আরম্ভ হয়।
তাঁর জ্যেষ্ঠ পিতৃব্য উপমহাদেশের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক কালিকা রঞ্জন কানুনগোর নির্দেশনায় তিনি গবেষণা কার্যে ব্রতী হন। জ্যাঠামনির নির্দেশ মাথায় নিয়ে পিএইচ ডি করার লক্ষ্যে অগ্রসর হন।
এ সময় লন্ডন থেকে দ্বিতীয় বারের পিএইচডি শেষ করে সদ্য দেশে ফিরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের রিডার ড. আবদুল করিম। এই উদার হৃদয় অসামান্য পণ্ডিত মানুষটির তত্ত্বাবধানে তাঁর গবেষণার কাজ অগ্রসর হতে থাকে। সে সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। তখন তিনি গভীর অধ্যয়নে মনোনিবেশ করেন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যদের থাকার জন্য ফুল বাগানে ঘেরা সরকারি বাসভবনে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়। প্রতিবেলা খাবার আসে জগন্নাথ হলের হেঁসেল থেকে। মোটামুটি আরামের মধ্যে তাঁর জীবন এবং কঠোর সাধনার মধ্যে তাঁর অধ্যয়ন চলে। এ সমস্ত ব্যবস্থা তাঁর তত্বাবধায়ক ড. করিমের সহায়তায় হয়েছিল।
সেই দিনগুলি ছিল ড. কানুনগোর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ দানের পাশাপাশি ড. করিমের তত্ত্বাবধানে ও সাহচর্যে পিএইচডি অভিসন্দর্ভ রচনার কাজ চলতে থাকে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিশাল কর্মযজ্ঞে জড়িয়ে পড়েন ড. করিম। ১৯৬৬ সালে ইতিহাস বিভাগ তথা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রিয় শিষ্য কানুনগোকে নিয়ে আসেন সঙ্গে করে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভাগের পাশাপাশি জাদুঘর প্রতিষ্ঠায়ও তিনি কাজ করে যাচ্ছিলেন দিনরাত। এতো ব্যস্ততার মাঝেও ভুলে থাকেননি প্রিয় শিষ্যের কথা। গুরু-শিষ্যের যৌথ খাটুনিতে একদিন শেষ হয় সুনীতি ভূষণ কানুনগোর পিএইচডি। ড. করিমের হাতে গড়া যেমন প্রথম পিএইচডি তেমনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরও প্রথম পিএইচডি। তাঁর গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল ‘A History of Chittagong under Muslim rule’। প্রাণ দিয়েই কাজ করেছিলেন তিনি।
ড. আবদুল করিম সদ্য প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যিালয়ের ইতিহাস বিভাগেই নিজের সহকর্মী করে নিয়ে নেন সুনীতি ভূষণ কানুনগোকে। ডিগ্রি হলো, অন্ন সংস্থানের সুবস্থাও হল। এরপর পড়া আর পড়ানো। আর লেখা। সেই লেখারই A History of Chittagong Vol-1, Vol-11; The Chittagong Revolt, 1930-34; Chakma Resistance to British Domination; বাংলায় বৈষ্ণব আন্দোলন; ইংল্যান্ডের ইতিহাস; প্রাচ্যের রাষ্ট্রদর্শন;বাংলার ভক্তিবাদ, বাংলার শাসনতান্ত্রিক ইতিহাস, প্রথম খণ্ড ও দ্বিতীয় খণ্ড, বাংলার ইতিহাস (প্রাচীন যুগ); বাংলার ইতিহাস (সুলতানী আমল); বাংলার ইতিহাস (মোগল আমল) ; মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী : জীবন ও কর্ম; শরৎচন্দ্র দাশ: জীবন ও কর্ম; কবি গুণাকর নবীন চন্দ্র দাশ: জীবন ও কর্ম; পার্বত্য চট্টগ্রাম: ইতিহাস ও সমাজ সংস্কৃতি; প্রাচীন হরিকেল রাজ্য ও মধ্য চট্টগ্রামের ইতিবৃত্ত; চট্টগ্রামের প্রাচীন ইতিহাস; আত্ম কথা (প্রকাশিতব্য); পটিয়ার ইতিহাস (প্রকাশিতব্য); চট্টগ্রামে রেনেসাঁস আন্দোলনে মুসলমান সমাজের ভূমিকা (প্রকাশিতব্য); বাংলায় রেনেসাঁস আন্দোলন (প্রকাশিতব্য)সহ অসংখ্য গ্রন্থের লেখক তিনি। তাঁর অজস্র গবেষণা প্রবন্ধও রয়েছে।
বাংলা ও ইংরেজি দু’ মাধ্যমেই প্রকাশ করেছেন প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগের বাংলার রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক ইতিহাস, বিপ্লব ও বিপ্লবীদের ইতিকথা, ধর্মতত্ত্ব, দর্শনের জটিল সব বিষয়কে অত্যন্ত সাবলীল ভঙ্গিতে।
পাশাপাশি টিউডোর স্টুয়ার্ট ও হ্যানোভার রাজারাণী, ইংল্যান্ডের সাংবিধানিক অগ্রগতি ও গতিশীলতার গল্প বলেছেন তিনি সরল বাংলায়। ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষার্থীরা ইংরেজ জাতির ইতিহাসটা সহজে মাথায় ঢুকানোর জন্য এই বইয়ের আশ্রয় নেয়। অনেকে পাঠ্য বইয়ের মতো সঙ্গে রাখে।
তাঁর সাহচর্যে থাকলে, প্রায় শুনি তিনি আবৃত্তি করে Shakespiere ‘Dark Lady’ থেকে-
‘I shall make you Immortal
My pen has that capacity’
‘আমি তোমাকে অমর করে রাখবো
আমার কলমে সে শক্তি আছে।’
এখনও কাঁপা কাঁপা হাতে তিনি লিখেই চলেছেন। তাঁর দিন কাটে এখনও বইয়ের ভেতর। গ্রন্থাগারে যাওয়া হয় না আজকাল। শরীর সায় দেয় না। ঘর তাই এখন তাঁর গ্রন্থাগার। গৃহই তাঁর দেবালয়।
তিনি খুব সরল একজন মানুষ। মানুষকে বিশ্বাস করেন সহজে। বিশ্বাস করে তাঁর লেখা অনেকগুলো পাণ্ডুলিপি তিনি তুলে দেন এক প্রকাশকের হাতে। তার একটি বড় পুস্তক বিপণী রয়েছে। তাঁর নিজের অর্থে প্রকাশ করা অনেকগুলো বইও তাঁকে তিনি দেন। কথা ছিল তিনি তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন কিন্তু অনুশোচনা প্রকাশ করেন যে সেই প্রকাশক ভদ্রলোক আর তাঁর কাছে আসেন না। তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন না। ফোন করলে এই আসছি, আসবো বলেন, আসেন না। তাঁর কথা-আমি এখন চলাফেরা করতে পারিনা। কখন চিরবিদায় নিতে হবে-ঠিক নেই। আমি কি ঠকে গেলাম? তাকে বিশ্বাস করে তার হাতে আমার আত্ম জীবনীর পাণ্ডুলিপি, আমার প্রকাশিতব্য বইগুলোর পাণ্ডুলিপি তার হাতে দিয়েছি কিন্তু সে তো আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না।
আর এক প্রকাশকের হাতে আমার এই অর্থ কষ্টের দিনেও তার হাতে এগার হাজার টাকা দিই-‘প্রাচীন হরিকেল রাজ্য ও মধ্য চট্টগ্রামের ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থটি প্রকাশের জন্য। সেই তরুণ বইটি প্রকাশ করে মাত্র দুটি কপি আমাকে দেই। আমার আরো অনেকগুলো বই তার বুক স্টলে বিক্রির জন্য নেয় কিন্তু কোন টাকা সেও দিল না।
অত্যন্ত ব্যথাভরা মনে বলেন, এই শহরের এক প্রকাশকের বিরুদ্ধে এই ছিয়াশির বৎসরের বয়সে এই প্রথম আমাকে মামলা করতে হলো। সেই প্রকাশক আমার সম্পাদিত ‘চট্টগ্রাম চরিতাভিধান’ বইটির চারশত পঞ্চাশ কপি বই নিয়ে যায়। আমাকে সে তখন তিন হাজার টাকা মাত্র দিয়েছিল। একটি চুক্তি করে সে বইগুলো নিলো। সেই যে নিলো আর আমার সঙ্গে সে দেখা করে না। ফোন করলে ফোন ধরে না। আমি তার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করি। আমাকে সাহায্য করার জন্য এই চট্টগ্রামের আর এক নব্য লেখক আমার কাছে আসেন। সম্প্রতি সেও আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করে। মামলার খরচের কথা বলে আমার কাছ থেকে চার হাজার টাকা নেয় অনেকটা আমার উপর চাপ সৃষ্টি করে। উকিল আমাকে ফোনে জানাল তাকে এক হাজার টাকা দিয়েছে। সম্প্রতি সেই নব্য লেখক একটি মোটা বই প্রকাশ করে তাতে আমার গবেষণা লব্ধ সমস্ত অর্জনকে সে কল্পনা প্রসূত বলতে চায়। ড. কানুনগো আক্ষেপের সঙ্গে বলেন-শৈশবে মায়ের মুখে শুনেছি ‘রাজায় যারে স্তুতি করে বাঁদর তারে ভেলকি মারে।’
স্ত্রী অধ্যাপিকা লীনা কানুনগো গত হয়েছেন প্রায় আট বছর হতে চলল। বড় ছেলে পার্থ সারথি চৌদ্দ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরম ধামে চলে যায়। কর্কট রোগ হয়েছিল তার। একমাত্র ছেলে ড. দীপংকর কানুনগো মার্কিন মুলুকে সংসার পেতেছে। এক সময় সকলেই তাঁর সঙ্গে ছিলেন। দুজন চলে গেছেন পরম ধামে। দীপংকর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। স্যার এই চার কক্ষ বিশিষ্ট ঘরে একা। ছেলে পার্থকে নিয়ে উৎসর্গ পত্র রচনা করেছেন ‘বাংলায় ভক্তিবাদ’ গ্রন্থে-
আমার জ্যেষ্ঠপুত্র পার্থ সারথি কানুনগো যে তার চৌদ্দ বছর বয়স পর্যন্ত আনন্দে আমাদের বুক ভরিয়ে রেখেছিল তারপর আমাদের চিরতরে শোক সাগরে ভাসিয়ে অনন্ত ধামে চলে গেল তারই শোকাবহ স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম।
হতভাগ্য পিতা
দীর্ঘ কর্মময় জীবনের সঞ্চিত অর্থ এবং অবসরের টাকায় পূর্ব পুরুষের জায়গায় পৈতৃক ভিটের পাশে দাতব্য চিকিৎসালয়’র জন্য পাকা দ্বিতল দীর্ঘ ভবন নির্মাণ করেন। প্রতিষ্ঠানটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারেননি। হয়তো ভবিষ্যতের কেউ এই প্রতিষ্ঠানের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন দাতব্য চিকিৎসালয়টি উদ্বোধন করে। তিনি তো অবকাঠামো গড়ে দিয়ে গেলেন। সেবা ধর্ম প্রতিষ্ঠার মানসে নিজের অর্জিত অর্থের প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকার মতো ব্যয় করেছেন। এলাকার অসুস্থ বিপন্ন মানুষ চিকিৎসা পাবে সেবা পাবে এই গভীর আকাঙ্ক্ষা তাঁর আত্মকু্‌ণ্ডয়নে রয়েছে।
তবে আমাদের সান্ত্বনা এই যে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে তাঁর কলম। তাঁর কলমের যে শক্তি আছে। তাঁর ছাত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক সালমা বিনতে শফিক লিখেছেন-‘তিনি কেবল শিক্ষক আর গবেষকই নন, তিনি এক সাধক। শতায়ু হোন প্রিয় শিক্ষাগুরু।’ আমার এ মুহূর্তের প্রার্থনা- স্যার আপনি নিরাপদ শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দময় জীবনের অধিকারী হোন। আপনাকে নিয়ে আমরা গৌরব করি। আপনার চরণে সহস্র প্রণাম…।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখোর
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা পেলেন মৎস্য ঋণ