সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার এক রোমাঞ্চকর বিজয় উপাখ্যান

ফারহানা ইসলাম রুহী | শুক্রবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

অপেক্ষায়, অপেক্ষায় ৩৬ বছর লেগে গেল! কৈশোরে পাগলের মত কেঁদেছি। আর্জেন্টিনার ৯০এর পরাজয়ে। আজও পুরনো দিনের কথা ভেবে চোখের কোণে আনন্দশ্রু এলো কেন জানি না!

শেষ হাসি হাসলাম এতদিনে। হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে চেয়েছি প্রিয় দল চির কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ নিয়ে বাড়ি ফিরবে। ধারা ভাষ্যকার আজ মারাদোনার কথাই বলছে বারবার। গোল করার জন্যে এক প্রকার মরিয়া হয়ে ক্ষুধার্ত বাঘের মতো ক্ষিপ্ততা ছিল তাদের। ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০২২ নাটকীয়তা ভরপুর এক ফুটবল চিত্রনাট্য।

সত্যিই দারুণ উপভোগ্য! মনে রাখার মতো দলের প্রতি দায় মোচনের গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে খেলেছে মেসি সহ আল ভারেজ ও দেল মারিয়ারা মার্টিনেজ সকলে। প্রতিটা মুহূর্ত কেটেছে বিশাল আতঙ্কে! এই বুঝি শেষ! জিততে গিয়েও হেরে যাওয়ার দুশ্চিন্তা ভর করেছে! কিভাবে ইতি হবে? কী ঘটতে যাচ্ছে পরিশেষে? সবাই বুঝেও যেন বোঝেনি। শেষ জয়ের উপাখ্যান উপর ওয়ালা নিজ হাতে লিখেছেন এটা সুস্পষ্ট। এক ভীতিকর পরিস্থিতি!

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা ফাইনাল খেলা আমরা সবাই উপভোগ করেছি। টান টান উত্তেজনা! টেনশন! দর দর করে ঘাম বেরুচ্ছে! এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি অবতারণা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মরণ কামড় দিয়ে সমস্ত মেধা ও যোগ্যতা, প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি, অদম্য মনোবল অসীম সাহস দিয়ে ভাল খেলেছে এই দল। খেলা দেখে বার বার মনে হয়েছে বীরের মত দেশকে জেতানোর জন্যই এসেছে। যেকোনো মূল্যে জিততেই হবে।

সেই সাথে ১৪০০ হাজার মাইল দূরে দেশের সাধারণ এক নিতান্ত অতি সাধারণ ভক্ত মন প্রাণ দিয়ে চেয়েছি এই সুযোগ কে কিছুতেই ওদের ছাড় দেয়া উচিত হবে না। প্রতিবার কোনো না কোনো বাধার জালে ওরা আটকে যায়। কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ ম্যারাডোনা ও মেসির দলের জন্যে শুভ ও বিজয় সূচনা করলো। মেসি ও তার দল যোদ্ধার মত মরণপণ দুর্দান্ত লড়েছে। বহু দিনের অসাধ্য সাধনকে সফলতার মুখ দেখিয়েছে। আর্জেন্টাইন ভক্তদের আমৃত্যু লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম এই ভেন্যু অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশ্বকে উপহার দিল অসাধারণ রোমাঞ্চকর ফুটবল শৈলী প্রিয় দল আর্জেন্টিনা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসালাম ভয়ে নয়, ভক্তিতে চাই
পরবর্তী নিবন্ধচোখের জল মানে না বাঁধ