সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান বিজিএমইএর

শিল্প কারখানায় চার ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ চার ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে পোশাক শিল্পসহ রপ্তানিমুখী শিল্প খাত চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিজিএমইএ। পাশাপাশি গ্যাস সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। তাই কারখানার উৎপাদনের স্বার্থে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
পেট্রোবাংলা আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পিক আওয়ারে ৪ ঘণ্টা সকল শিল্প শ্রেণী গ্রাহকদের গ্যাস ব্যবহার বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করে। ১১ এপ্রিল জারি করা এই সিদ্ধান্ত একদিনের মাথায় গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে।
গ্যাস সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন, দেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলো করোনাকালীন স্থগিত ও বাতিল হয়ে যাওয়া রপ্তানি আদেশগুলোর পাশাপাশি নতুন নতুন বিপুল পরিমাণ রপ্তানির অর্ডার পেয়েছে। গার্মেন্টস কারখানাগুলো রাতে-দিনে কাজ করে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে তৈরি পোশাকের চালান পাঠানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে। এসব পণ্য ঠিকভাবে রপ্তানি করতে হলে নির্দিষ্ট সময়ে জাহাজিকরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বে পুরো চালান উৎপাদন সম্পন্ন করতে এই খাতের সকলে ব্যস্ত। এই অবস্থায় ১৫ দিনের জন্য দৈনিক ৪ ঘণ্টা গ্যাস ব্যবহার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প খাতে উৎপাদন কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্ন হবে, যা দেশের সার্বিক রপ্তানি বাণিজ্য ব্যাহত করবে। ফলে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বে ও পরবর্তী মাসেও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সমস্যার সৃষ্টি হবে। এতে শ্রমিক অসন্তোষসহ এই শিল্প সেক্টরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিরও আশঙ্কা রয়েছে। গ্যাস সরবরাহ চার ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত তৈরি পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, ব্যাপারটি জাতীয় অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী হয়ে উঠবে। একই সাথে সময়মতো পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে কারখানা চালু রাখার বিকল্প নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতিন পণ্য নিয়ে চলতি বছরেই সিএসইর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ
পরবর্তী নিবন্ধক্লাস বন্ধ রেখে উকুন বাছা, ৭ কর্মকর্তা বদলি