ঢাকার অস্ত্র আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের সাজা হবে কি না, তা জানা যাবে ২৮ সেপ্টেম্বর। ঢাকার মহানগর ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ সেদিন এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারক রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল জানান। জালিয়াতি-প্রতারণায় আলোচিত সাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কয়েক ডজন মামলার মধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানার এই অস্ত্র আইনের মামলাই প্রথম রায়ের পর্যায়ে এল। খবর বিডিনিউজের।
গত ২৭ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর পর এ মামলার কাজ এগিয়েছে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে। রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মোট ১১ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত। অভিযোগ গঠনের তারিখ থেকে মোট আট কার্যদিবস শুনানি শেষে এ মামলা এক মাসের মধ্যেই রায়ের পর্যায়ে এল বলে আসমি পক্ষের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান জানান। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু যুক্তিতর্ক শুনানিতে আদালতকে বলেন, সাহেদের গাড়ি থেকে উদ্ধার করা অবৈধ অস্ত্রটি যে তার, সেটা রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে ‘সক্ষম হয়েছে’। সুতরাং অস্ত্র আইনে নির্ধারিত সব্বোর্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই তারা চান। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান বলেছেন, ওই অস্ত্রের বিষয়ে সাহেদের ‘কোনো নিয়ন্ত্রণ জ্ঞান ছিল না’। মামলায় তার খালাস পাওয়া উচিৎ।