সার্চ কমিটির কাজ শিগগির শুরু করব

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি ‘খুব শিগগির’ বৈঠকে বসছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। নতুন আইন অনুযায়ী ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গতকাল শনিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দেন।
গতকাল সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ এর ধারা ৩ মোতাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণের নিয়োগদানের জন্য আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করার লক্ষ্যে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করা হলো। অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবে। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
প্রজ্ঞাপনের পর সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে কথা বলব। শর্টেস্ট পিরিয়ডের মধ্যে আমরা বসব। চেষ্টা করব কালকের (রোববারের) মধ্যে বসে কমিটির সবাই কথা বলতে।
ছয় সদস্যের সার্চ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও লেখক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। রাষ্ট্রপতি গঠিত এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সার্চ কমিটির দুজন সদস্য বলেন, কমিটির সভাপতির ‘নোটিস’ পেলেই তারা বৈঠকে গিয়ে আলোচনায় বসবেন। আইন অনুযায়ী নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যে সার্চ কমিটি কাজ শেষ করবে বলে জানান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, আমরা কলিগরা বসে টার্মস অব রেফারেন্স ঠিক করে আইন অনুযায়ী কাজ শুরু করব। নির্ধারিত সময়ে কমিটি কাজ শেষ করবে।
আইনে সার্চ কমিটিকে সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন। তবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি বিদায় নেবে বলে তার আগেই নাম সুপারিশ সার্চ কমিটি করতে চাইলে সময় আছে ১০ দিন।
আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২০১৭ সালে গঠিত সার্চ কমিটিতেও সদস্য ছিলেন। হাই কোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে ওই সার্চ কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। এর আগে ইসি গঠনের জন্য দুটি সার্চ কমিটি গঠিত হলেও এবারই প্রথম আইনের ভিত্তিতে এই কমিটি গঠন করা হলো। সমপ্রতি সংসদে পাস হয় ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন’।
পাঁচ বছর আগে তৎকালীন সার্চ কমিটি গঠনের তিন দিনের মাথায় প্রথম বৈঠক করে। আগের মতো এবারও সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটির বৈঠক হতে পারে। আইনে বলা রয়েছে, আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, সাংবিধানিক পদ সিএজি এবং পিএসসির চেয়ারম্যানের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দুজন বিশিষ্ট নাগরিককে নিয়ে ছয়জনের সার্চ কমিটি গঠন করবেন। এই সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে উপযুক্তদের বাছাই করবে। তা থেকে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে। তাদের মধ্য থেকে অনধিক পাঁচজনকে সিইসি ও ইসি হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসার্চ কমিটি নিয়ে আগ্রহ নেই বিএনপির
পরবর্তী নিবন্ধসার্চ কমিটির মাধ্যমে শক্তিশালী ইসি গঠনের প্রত্যাশা আ. লীগের