সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাইলে ছাড় নেই

সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে জেলা প্রশাসক

| বুধবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আর কয়েক দিন পরেই হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবকে ঘিরে উন্নয়ন বিরোধী একটি মহল দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। গত বছর দুর্গাপূজা চলাকালীন কুমিল্লায় ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা অপপ্রচার চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে যারা চেষ্টা করবে তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় নেই। এদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
গতকাল নগরীর ষোলশহর এলজিইডি মিলনায়তনে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় এবং সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুরুতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে শপথবাক্য পাঠ করান জেলা প্রশাসক। শেষে সামাজিক সম্প্রীতি র‌্যালি বের করা হয়।
সমাবেশে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, সামাজিক সম্প্রীতি ছাড়া উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। শুধু দুর্গাপূজা নয়, কোনো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া যাবে না। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় কোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশ থাকবে না। দুর্গোৎসব বা পুজামণ্ডপ ঘিরে কেউ নাশকতার পরিকল্পনা করলে কিংবা উস্কানি দিলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. বদিউল আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান, পটিয়া পৌর মেয়র মো. আইয়ুব বাবুল, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেখা আলম চৌধুরী, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল উদ্দিন, জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মিথুন রশ্মি বড়ুয়া, মাওলানা আনোয়ারুল আজহারী, চেয়ারম্যান বিজয় কুমার বড়ুয়া প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি-জামায়াত নাশকতা চালালে রাজপথেই মোকাবেলা
পরবর্তী নিবন্ধশুরু হচ্ছে ‘সৌদি আইডল’