সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর চবি

৩৩তম ব্যাচের পুনর্মিলনী

চবি প্রতিনিধি | শনিবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ

আবার আসিব ফিরে বর্ণিল এই প্রাঙ্গণে’ প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৩৩তম ব্যাচের পুনর্মিলনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাস যেন উৎসবে মেতে উঠেছে সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারণায়।

গতকাল শুক্রবার সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রাণের বিদ্যাপিঠে প্রায় দুই যুগ পর এসে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন অনেকেই। কেউবা আবার পুরনো সহপাঠীদের সাথে মেতে উঠছেন গল্পেআড্ডায়। অনেকে সন্তানদের নিয়ে এসেছেন নিজের বিশ্ববিদ্যালয় দেখাতে।

মা সন্তানকে দেখাচ্ছেন তার ক্লাসরুম। যেখানে তিনি পাঁচটি বছর কাটিয়েছেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াসহ আরো অনেকে। বিশেষ অতিথি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আসতে পেরে অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। এই অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।

এরকম অনুষ্ঠান বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন। এতে করে ব্যস্ত জীবনের একঘেয়েমি দূর হবে। গণিত বিভাগের ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মঈনউদ্দীন অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছি।

তাদেরকে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। আমি ১৯৯৮ সালে এই ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়েছিলাম। এখন ২০২৩ সাল কিন্তু আমি ১৯৯৮তেই যেন ফিরে গেছি। শহর থেকে শাটল ট্রেনে করে বন্ধুদের সাথে আসা, সেইসাথে পুরনো বন্ধুদের পেয়ে মনে হচ্ছে যেন সেই ১৯৯৮ সালে ফিরে গেছি। এরকম একটা অনুষ্ঠানের যারা আয়োজন করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

মূল প্রোগ্রামে কয়েকটি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয় এর মধ্যে ছিলোম্যাজিক শো ও পাপেট শো, শিশুদের অংশগ্রহণে নাচগান ছড়া পরিবেশন, সম্মাননা প্রদান এবং স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরবীন্দ্র সংগীতের শুদ্ধ চর্চার ক্ষেত্রে নবরাগ বিশেষ ভূমিকা রাখবে
পরবর্তী নিবন্ধব্যবহারিক প্রায়োগিক ভুলের যাঁতাকলে নারীবাদ