সাতকানিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারে দগ্ধ ড্রাইভার হেলালের মৃত্যু

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ১১ জুলাই, ২০২১ at ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ ড্রাইভার হেলাল উদ্দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান। এর আগে গত বৃস্পতিবার (৮ জুলাই) রাতে সাতকানিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের চরপাড়া জিন্নাত আলী সিকদার বাড়ীর মৃত হামিদ আলীর পুত্র সৈয়দ আহমদের রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে ড্রাইভার হেলাল উদ্দিনসহ ৫ জন দগ্ধ হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ড্রাইভার হেলাল উদ্দিন চরপাড়ার জিন্নাত আলী সিকদার বাড়ির মৃত আবদুস শুক্কুরের পুত্র।
সাতকানিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল আলম সোহেল জানান, সৈয়দ আহমদ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনু ফকিরের দোকান এলাকা থেকে বাড়ির জন্য পদ্মা কোম্পানির একটি গ্যাস সিলিন্ডার নেয়। ওই দিন রাত সাড়ে দশ টার দিকে শ্বশুর বাড়ি থেকে বেড়াতে আসা তার মেয়ে খালেদা বেগম রান্নাঘরে গেলে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ হয়। এ সময় খালেদার চিৎকার শুনে ঘরে থাকা তার স্বামী লোহাগাড়ার কিল্লার আন্দর এলাকার শাহ আলম ও তাদের পুত্র শাহনেওয়াজ দৌঁড়ে গিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। তখন তারা দুই জনও দগ্ধ হয়। একপর্যায়ে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের আর্তচিৎকার শুনে প্রতিবেশী ড্রাইভার হেলাল উদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেন ছুটে গিয়ে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় হেলাল ও দেলোয়ারও দগ্ধ হয়। পরে খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর দগ্ধ হয়ে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ওইদিন রাতেই তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতাল থেকে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন হেলাল উদ্দিন মারা যান। দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া হেলাল উদ্দিনের চাচাতো ভাই আবছার জানান, দগ্ধ হওয়া পাঁচ জনের মধ্যে হেলালের অবস্থা খারাপ ছিল। সে অন্যান্যদের চেয়ে অনেক বেশি পুড়েছিল। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত ১০ টার দিকে তিনি মারা যান। আবছার আরো জানান, ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে হেলাল সবার ছোট। হেলালের ১০ মাস বয়সী ১টি ছেলে ও ৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। হেলালের লাশ নিয়ে তারা ঢাকা থেকে রাতেই এলাকার উদ্দ্যেশে রওনা হয়েছেন বলে জানান।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবদুল মজিদ ওসমানী জানান, অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে হেলাল উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। অন্যান্যদেরও শ্বাসনালীসহ অনেক স্থানে পুড়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রেমের ফাঁদ পেতে বাসায় ডেকে এনে জিম্মি
পরবর্তী নিবন্ধফাইজার মডার্নার টিকার সঙ্গে হৃদযন্ত্রে প্রদাহের যোগ