শীত বিদায় নিতে না নিতেই তাপমাত্রা উঠেছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চৈত্রের শুরুতেই দেশে গরমের এই আঁচের কারণ মৃদু তাপপ্রবাহ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই তাপপ্রবাহের মধ্যে গতকাল বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে হতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে আগামী সোমবার সকালে। গতিমুখ অনুযায়ী উপকূলের দিকে এগিয়ে আসলে আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস ঘূর্ণিঝড়ের কোনো বার্তা না দিলেও এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হবে অশনি। শ্রীলঙ্কার দেওয়া এই নামের অর্থ বাজ বা বজ্র। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী আনন্দ কুমার দাস জানিয়েছেন, ১৫ মার্চ ভারত সাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বদিকে এগিয়ে ১৯মার্চ সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে লঘুচাপটি গভীর লঘুচাপে পরিণত হবে। ২০ মার্চ আনন্দাম নিকোবর দ্বীপের কাছাকাছি এসে পরিণত হবে নিম্নচাপে। আর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে ২১ মার্চ সকালে। ২২ মার্চ এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগুতে পারে। ২৩ মার্চ আরও উত্তর ও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে পৌঁছাতে পারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক এ বিষয়ে বলেন, একটা সিস্টেম ফরম করছে। তবে এটার গতিবিধি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। ঘূর্ণিঝড়ের গতি ও গতিমুখ নিয়ে এত অগ্রিম কিছু বলা যায় না। কেননা, বারবার এগুলো পরিবর্তন হয়। আগে লঘুচাপটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে আসুক, তারপর আমরা সবাইকে বলবো।
বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে কঙবাজার-মিয়ানমার উপকূলে আসতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ওইদিকে তেমন কোনো ঝড় যায়নি। তবে এটি ওদিকে যেতে পারে। আসলে এত অগ্রিম কিছু সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।