সাগরের মাছ ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা

| মঙ্গলবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ইঙ্গ-মার্কিন বিরোধী আন্দোলনকারীরা ৭৩ বছরেও বাংলাদেশের ক্ষমতার আশে-পাশে যেতে পারে নি। ৭৪ দুর্ভিক্ষে ৬ দফা হতে ৭১ স্বাধীনতা যুদ্ধে, অসহযোগ আন্দোলনকারীরা ও অনেক মুক্তিযোদ্ধা অর্ধ্বাহারে ও অনাহারে মারা গেছে। কী কারণে মারা গেছে অদ্যবদি কেউ তদন্ত করে নি এবং তাদের আদর্শ বাস্তবায়ন না হওয়াতে হঠাৎ ডিমের, চাউলের বাজার এবং মাজারী সাইজের বড় ইলিশ মাছের মৌসুমে ৮/৯শত টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হলে কিভাবে সাধারণ মানুষ ক্রয় করবে? অথচ ধনী রাষ্ট্রগুলোতে এদেশের জনগণ খাওয়ার আগে বিভিন্ন ধরনের মাছ পৌঁছে যায়। দুঃখের বিষয় বলতে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম নিজের উৎপাদিত, নিজের সাগর-মহাসাগর থেকে আহরণকৃত মাছগুলো আমরা পেটভরে খাবো, কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। তা না হয়ে উল্টো আমরা খাওয়ার আগেই সিন্ডিকেটের কারণে বিদেশে চলে যায়। এই দুঃখ কোথায় রাখি। তাই লটিয়া, ইলিশ, কোরাল, রূপচাঁদা, গলদা চিংড়ি, লাক্ষামাছ ইত্যাদি দেশের বাজারে, দেশের সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত বেচে গেলে বিদেশে রপ্তানি করা হোক। আপাতত সুস্বাদু মাছগুলো বিদেশে রপ্তানী না করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। হঠাৎ উর্ধ্বগতি করে সিন্ডিকেটকারীরা হাজার কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। একমাত্র মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণেই। তাই মুক্তবাজার অর্থনীতির ব্যবস্থা পরিহারের দাবী জানাচ্ছি। এবং উক্ত অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এম.এ সালাম
কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ,
পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবি কামিনী রায় : নারী শিক্ষার অগ্রদূত
পরবর্তী নিবন্ধস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ফুটপাতের খাবার বর্জন করতে হবে