আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোনো নিরীহ কর্মকর্তা–কর্মচারীকে গ্রেপ্তার না করার আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তবে দোষী হলে গ্রেপ্তারে কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
গতকাল সোমবার সকালে নগরের ৩২নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। মেয়র বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের একজন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে ফ্যাসিবাদের দোসররা অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমি পরিষ্কার বলতে চাই– খুনী ফ্যাসিবাদের দোসরদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ডা. শাহাদাত বলেন, সন্ত্রাসী যেই হোক সে যদি সিটি কর্পোরেশনের কোনো পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাও হয়ে থাকে তাকে প্রশাসন গ্রেপ্তার করবে, এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। আমি চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে কর্পোরেশনের কোনো নিরীহ কর্মকর্তা–কর্মচারী গ্রেপ্তার না হয় সেটা নজর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের যে সমস্ত কর্মচারী দিনরাত পরিশ্রম করে শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখছে তারা যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে। আর চিহ্নিত যেসব সন্ত্রাসী এ কাজ করেছে তারা আইনের আওতায় আসবে। আমি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত শাস্তি এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তবে এ ঘটনায় নিরীহ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হন প্রশাসনকে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা রাতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। দিনের বেলায় যত্রতত্র ময়লা না ফেলে একটা সুনির্দিষ্ট সময় আপনারা ফেলেন, বিকালে বা সন্ধ্যার পরে। সিটি কর্পোরেশনের সেবকগণ সেটা কালেকশন করে নিয়ে যাবে। সুনির্দিষ্ট সময়ে ময়লা ফেললে আমাদের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে। আমরা বদ্ধপরিকর জনগণের সেবা দিতে। জনগণের সেবক হিসেবে আমরা কাজ করছি। কাজেই আমি মনে করি আমরা সবাই মিলে একটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন শহর, ক্লিন–গ্রিন–হেলদি সিটি জনগণকে উপহার দিব।
পরিচ্ছন্ন কর্মীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মধ্যে যারা অনুপস্থিত আছেন কিংবা কাজে গাফেলতি করছেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি চাই তারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের সেবা দিবে। ওয়ার্ড সচিবদের মধ্যে যারা কাজ করছে না বা যাদের বিরুদ্ধে সমস্যা পাওয়া গেছে তাদেরকে গতকাল আদেশ দিয়ে বদলি করেছি। সেখানেও যদি তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করে তবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দায়িত্বে ফাঁকি দিলেই শাস্তি হবে। জনগণকে কষ্ট দিলে চাকরি থাকবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী।