সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

| বৃহস্পতিবার , ২৪ মার্চ, ২০২২ at ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার অংশ হিসেবে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স স্থাপনের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। চলচ্চিত্র শিল্প ছিল অ্যানালগ যা আমি ডিজিটাল করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পীদের সর্বোচ্চ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার ভার্চুয়ালি প্রদান করেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার পুরনো চলচ্চিত্রকে ডিজিটালাইজ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পকে সমাজের প্রতিবিম্ব হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই শিল্প সমাজ সংস্কারে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয় এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চলচ্চিত্রের জন্য আর্কাইভ এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। পাশাপাশি পুরনো সিনেমাগুলো ডিজিটালাইজড করে সেগুলোকেও আবার নতুনভাবে উপস্থাপন করার পদক্ষেপ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য দেন, তথ্য ও সমপ্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন। পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে বিশিষ্ট অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিজয়ী শিল্পী ও কলা কুশলীদের অভিনন্দন জানান এবং আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পী আনোয়ারার শারিরীক অসুস্থতার সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁর দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করেন। প্রয়োজনে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আনোয়ারার পক্ষে ড. হাছান মাহমুদের হাত থেকে পুরস্কার নেন মেয়ে চিত্রনায়িকা মুক্তি।
আজীবন সম্মাননা লাভকারী রাইসুল ইসলাম আসাদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করার সময় তাঁর কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও পূর্ণিমার সঞ্চালনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুদ্ধের প্রভাবেই গ্যাসের দাম বাড়ছে : অর্থমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা