সরকার ও দল পরিচালনায় চট্টগ্রামবাসীকে মূল্যায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

সংবর্ধনার জবাবে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে সংবর্ধনা দিয়েছেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। স্টেশন প্রাঙ্গণে ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। সকাল থেকে স্টেশন চত্বরে নগরী ও জেলা থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসেন।

দুপুর হতেই সেই জনস্রোত রেল স্টেশন ছাড়িয়ে যায়। পরে অস্থায়ী সংবর্ধনা মঞ্চে সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, রাজনীতিতে পদপদবী বড় বিষয় নয়, রাজনীতির সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করা। সরকার ও দল পরিচালনার জন্য চট্টগ্রামবাসীকে মূল্যায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের ৫ জনকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে স্থান দিয়েছেন। চট্টগ্রামের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আজকে চট্টগ্রামবাসী আমাকে ভালোবেসে যে সম্মান দেখিয়েছেন-তার মর্যাদা রাখবো।

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগের নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, জনগণের আস্থা অর্জনে আওয়ামী লীগ সফল হয়েছে। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। কেউ যেন উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতৃত্বসহ প্রয়াত নেতাদের স্মরণ করে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আওয়ামী লীগে চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচজনকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে রেখে চট্টগ্রামবাসীকে সম্মানিত করেছেন। তিনি বলেন, দায়িত্ব পাওয়া মানে সংবর্ধনা নেয়া নয়, দায়িত্ব পাওয়া মানে দায়িত্ব পালন করার একটি দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যবোধ সৃষ্টি হওয়া।

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু দেশে নয়, দেশের বাহিরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে ব্যহত করতে চায়। আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে, দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তির অপব্যবহার না করে, আমরা যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক, সাংগঠনিক শক্তি ব্যয় করি।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পিয়ারুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হক চৌধুরী বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা এড. মির্জা কছির উদ্দিন, প্রদীপ দাশ, এড. জহির উদ্দিন, মোছলেহ উদ্দিন মনসুর, আবু জাফর, চন্দন ধর, জহুর লাল হাজারী, আবদুস সবুর লিটন, জামশেদুল ইসলাম, জাফর আহমদ, নুরুল আবছার চৌধুরী, ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, বিজয় কুমার বড়ুয়া, ছিদ্দিক আহমদ বি.কম, নাছির আহমদ চেয়ারম্যান, দেবব্রত দাশ, মোস্তাক আহমদ আঙ্গুর, আইয়ুব আলী, আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ মুছা, মহিউদ্দিন বাচ্চু, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, কাউন্সিলর নিলু নাগ, কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্ত, যুবনেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, নুরুল আমিন, খোরশেদ আলম, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, রেজাউল করিম রাজা, চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মো: গালিব সাদলী, তৌহিদুল হক, লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বাবুল, সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, আতিকুর রহমান চৌধুরী, মীর মহিউদ্দিন, দিদারুল ইসলাম, দিদারুল আলম, মমতাজ উদ্দিন, সুরেশ দাশ, রেহেনা ফেরদৌস, জীবন আরা বেগম, এস এম বোরহান উদ্দিনসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টা, ২৬ রোহিঙ্গা উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধসংসদ উপনেতা হচ্ছেন মতিয়া চৌধুরী