চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগ মানুষকে দেখিয়েছে নতুন স্বপ্ন, জুগিয়েছে নতুন পথ। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য প্রদানের জন্য প্রথমবারের মতো ডিজিটাল শুমারি পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। গতকাল বুধবার নগরীর নন্দনকানন থিয়েটার ইন্সটিটিউট থেকে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর র্যালির উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের উদ্যোগে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। ইতিপূর্বে পাঁচবার আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারই প্রথমবারের মতো আদমশুমারি তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম থেকে শুরু করে সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। জনশুমারি ও গৃহগণনার কর্মসূচি গতকাল ১৫ জুন হতে ২১ জুন পর্যন্ত সাতদিনব্যাপী চলবে। তিনি বলেন, দেশের প্রকৃত অবকাঠামো ও জনসংখ্যা তথ্যের বৃহৎ উৎস হলো শুমারি। ডেল্টাপ্ল্যান্ট ২১০০, রুপকল্প ২০৪১ তথা টেকসই অর্জনসহ উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, মূল্যায়নে জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য উপাত্ত ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া বাংলাদেশে বসবাসকারী সকল নাগরিকের দায়িত্ব। তাই শুমারি কর্মীদের সঠিক তথ্যপ্রদান ও তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য মেয়র নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, নুর মোস্তাফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, সচিব খালেদ মাহমুদ ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
