সন্দ্বীপে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ইউপি সদস্যসহ আহত ২

| শনিবার , ২৭ মে, ২০২৩ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

সন্দ্বীপ উপজেলায় পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে পরবর্তী সহিংসতায় ইউপি সদস্যসহ দুইজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন কালাপানিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল কাদের ও তার বড় ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. পারভেজ। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর বাংলানিউজের।

জানা গেছে, নির্বাচনের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে কালাপানিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য আবদুল কাদের ও তার বড় ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা মো. পারভেজের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। নির্বাচনের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্তোষপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান ফুলমিয়ার বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তার বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা একাধিক ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত আবদুল কাদের মেম্বারের ফুফাতো ভাই আজাদ বলেন, দোকানের সামনে পারভেজ ও কাদের ভাইয়ের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে আলীমুর রাজী চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন লোক। এতে কাদের ভাইয়ের মাথা, ডান হাতের একটা আঙুল ভেঙে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমম রয়েছে। পারভেজ ভাইয়ের মাথায়ও আঘাত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কারণ তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হামলার পর রাতেই তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আলীমুর রাজী বলেন, নৌকার বিজয় মিছিলের সময় সমর্থকদের ওপর হামলার কারণে উল্টো মারধরের শিকার হয়েছে তারা। তারা দুই ভাই নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ছিল।

ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। থানায় এখনো মামলা করা হয়নি। তারা মামলা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বাধীনতাবিরোধীদের নৈরাজ্য প্রতিহত করবে ১৪ দল
পরবর্তী নিবন্ধ‘প্রতিবন্ধী লক্ষণ দেখে’ শিশুকে ডাস্টবিনে ফেলে গেল পরিবার