সন্দ্বীপে ডাকাতির ঘটনায় ৬ আসামি গ্রেপ্তার, লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি | সোমবার , ২২ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

সন্দ্বীপে এক মাস আগে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ডাকাতদের কাছ থেকে লুন্ঠিত ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, ২টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, ডাকাতির ঘটনার পর সন্দ্বীপ থানার একটি টিম আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য সন্দ্বীপসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের ধারাবাহিকতায় গত ১ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত আসামি নুরুল আফসার (৩৪) ও মো. সোহেলকে (৩০) আটক করে তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত মালামাল বিক্রির নগদ টাকা ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলসহ দেশিয় যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে এ ঘটনার অন্যতম সদস্য মো. রোবেলকে (৩৩) র‌্যাব৭ এর সহযোগিতায় গত ২০ এপ্রিল সকাল ১১টায় সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি থেকে আটক করা হয়। একইদিন তার দেয়া তথ্যমতে মো. মিজানুর রহমান (৫৩) ও মো. সিরাজকে (৪১) ফিরিঙ্গি বাজার থেকে র‌্যাবের সহযোগিতায় আটক করে সন্দ্বীপ থানা। পরে আটক রুবেল, সিরাজ ও মিজানের দেখানো মতে সন্দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধোপারহাট বাজারের দিপা জুয়েলার্স নামের স্বর্ণের দোকান থেকে স্বর্ণাকার দিলিপ চন্দ্র বনিককে (৪৮) আটক করে তার কাছ থেকে ডাকাতির সময় লুন্ঠিত ৯ ভরি ২ আনা ওজনের স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে সন্দ্বীপের বাউরিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এ.টি.এম শামসুল আলমের বাড়ির মো. আকতার হোসেন প্রকাশ মামুনের বসতঘরে ৮/১০ জনের ডাকাত দল প্রবেশ করে ঘরের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় মর্মে সন্দ্বীপ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বাদী আকতার হোসেন। সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসড়ক ও ফুটপাত থেকে ৫০ অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ
পরবর্তী নিবন্ধকেএনএফের আরো ২ সদস্য কারাগারে