সন্তানদের সুবচনে এবং সুশিক্ষায় মানুষ করার ব্রত হোন

সুলতানা কাজী | রবিবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

এই তো দাঁড়িয়ে আছি, কুয়াশাচ্ছন্ন বাড়ির উঠোনে! চড়ুই পাখি ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ উড়ছে, এক গাছ থেকে অন্য গাছে। জীবনের সমস্ত উচ্ছাসে কী প্রাচুর্যভরা ! মনে পড়ছে, বাড়ির পাশের ক্ষেত থেকে ধনেপাতা চুরির কথা ! শাস্তিস্বরূপ. চুলের মুঠি ধরে মায়ের কী ভয়ানক মার ! ইশ, গায়ে এখনও যেনো ব্যথা অনুভূত হচ্ছে! আরো মনে পড়ছে, মায়ের বলা কঠিন কথাগুলো ! জীবনে মিথ্যে না বলার, চুরি না করার কী শপথটাই না করাতেন আমাদের ! এখনও চলার পথে হঠাৎ মনে হয়, মা’ যেনো পিছনে পিছনে পাহারা দিচ্ছেন আমাকে !
সময়ের অবিশ্রান্ত ধারায় চলমান কাঁটার মাঝে বিলীন হয়ে যায়, জীবনের মুহূর্তগুলো প্রতিনিয়ত। আমরা হেঁটে যাই জীবনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের দিকে ক্রমশ, ক্রমাগতভাবে অনন্তের দিকে। চলমান জীবন, অনাদিকাল থেকেই। জীবনকে যাপন করার উপলব্ধি, অনুভব পোক্ত প্রায়। চলার পথে বাঁকে বাঁকে, ক্ষণে ক্ষণে এমন কিছু উপলব্ধি, এমন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের চেতনায় গাঢ় ছাপ রেখে যায়, যা বিস্মৃত হতে চাইলেও হওয়া যায় না! বারবার ফিরে আসে সেই চেনা পথ ধরে, হারিয়ে যাই এক সময়ের সীমানায়! খুঁজে পাই অন্য এক ‘আমি’কে। মায়ের শেখানো বুলিকে সাংবিধানিকভাবে বুকে আগলে পথ চললেই জীবন মাধুর্যময় হয়! পৃথিবীর সকল মা সন্তানদের সুবচনে এবং সুশিক্ষায় মানুষ করার ব্রত করুন! আমার এক বন্ধু অনেক আগে বলেছিলেন, জীবনকে এমনভাবে গঠন করো, যেনো ডায়েরির পাতায় লুকিয়ে না রাখতে হয়! আমি বলি, অতীতকে না লুকিয়ে সবার মাঝে প্রকাশ করার শক্তি দাও প্রভু! শক্তি দাও।
লেখক: শিক্ষক

পূর্ববর্তী নিবন্ধফকির লালন শাহ ও একতারা ভাস্কর্য
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ : উন্নয়ন ও সাফল্যের অগ্রপথিক