সচেতনতা নেই সীতাকুণ্ডের গ্রামীণ জনপদে

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বুধবার , ২১ এপ্রিল, ২০২১ at ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

কাজ নেই, তবুও ঘরে বাইরে যাচ্ছেন সীতাকুণ্ডের গ্রামীণ জনপদের মানুষগুলো। চায়ের দোকানে দলবেধে আড্ডায় মেতে উঠছেন। আড্ডার আলোচ্য বিষয়ও করোনা। অনেকে একসঙ্গে বসে দেখছেন টিভি। অথচ টিভিতে প্রতি ঘণ্টায় দেয়া হচ্ছে মৃত্যুর খবর। সংক্রমণ রোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতেও বলা হচ্ছে। কিন্তু এসবের কিছুই যেন শুনছেন না তারা।
গতকাল সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা, মুরাদপুর, কুমিরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে জটলা পাকিয়ে বসে আছেন মানুষগুলো। হাট-বাজারে গাদাগাদি করে কেনাকাটা চলছে। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। রিকশা বা ভ্যানগাড়িতে চলাচল করছেন একাধিক মানুষ।
সৈয়দপুরের শেখেরহাটে একটি দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন রেজাউল করিম ও জহুরুল ইসলাম। জানতে চাইলে তারা বলেন, ঘরে আর কতক্ষণ বসে থাকবো? মোড়ের দোকানে বসে বসে টিভি দেখি। গ্রামের অনেক মানুষই এখানে ভিড় করে। স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, পল্লী অঞ্চলের মানুষ এখনো সচেতন হয়নি। তারা বুঝতেও চায় না। একই কথা সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম তাজুল ইসলামের। তিনি বলেন, আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি। করোনা থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু তারা এসব গুরুত্ব দিচ্ছে না।
সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমেদ বলেন, সচেতনতা বাড়াতে আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। কিছু মানুষ গুরুত্ব দিচ্ছে। আবার অনেকের মধ্যে করোনা আতঙ্কে প্রভাব ফেলছে না। সীতাকুণ্ড পৌরসদরের মডার্ন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদ মোশাররফ বলেন, বিশ্বের কোনো কোনো দেশ করোনাকে অবহেলা করেছিল। বিপুল প্রাণহানির মাধ্যমে তাদের অসচেতনতার মূল্য দিতে হয়েছে। আমাদের দেশেও আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, আমরা মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালাচ্ছি। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। এরপরেও কিছু মানুষ তা মানছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইগো বা ক্ষমতার দম্ভ থাকা উচিত নয় : হাইকোর্ট
পরবর্তী নিবন্ধআল-হাসনাইন ফাউন্ডেশনের রান্না করা খাবার বিতরণ