সংসারের সৌন্দর্য হচ্ছে নারী

বিভাস গুহ | বৃহস্পতিবার , ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

একটি পরিবারে পুরুষ ও নারী উভয়ের বসবাস হলেও পরিবারের সৌন্দর্য, পরিবারকে সুশৃঙ্খল এবং একত্রিতকরণে পুরুষদের চেয়ে নারীদের ভূমিকা অনেক বেশি। সংসারের সুখের মূল চাবিকাটি কিন্তু নারীর হাতে। নারীরা চাইলে একটি পরিবারকে যেমন সুখের নীড়ে পরিণত করতে পারে আবার ভেঙে তছনছও করতে পারে। সেজন্য বলা হয় সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে।
প্রতিটি পরিবারে নারীরা যেভাবে শ্রম দিয়ে থাকে সকাল থেকে রাত অবধি তা কিন্তু একজন পুরুষের চাকরির শ্রমের চেয়ে অনেক বেশি। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে পরিবারের সবার জন্য নাস্তা তৈরি পরিবেশন সন্তানদের শিক্ষালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতিকরণ পরিবারের বয়োজ্যোষ্ঠদের সেবা শুশ্রূষা সহ যথাসময়ে খাবার প্রস্তুত একা নারীকেই করতে হয়। সে আদিকাল থেকে নিজেরইতো সংসার এটা ভেবে ভেবে সংসারকে করেছে সুখের। পুরুষরা যথাসময়ে চাকরিতে গিয়ে চাকরি শেষে বাড়ি ফিরে সবকিছু নিজের মত করে পেতে চায়। আর নারীরা সেগুলোর ব্যবস্থা করে রাখে। অন্যদিকে কর্মজীবি নারী হলে সে চাকরী থেকে ফিরে সংসারের যাবতীয় কাজে মন দেয়। একটু বিশ্রামের সুযোগ সে পায় না। আর পুরুষরা কেউ কেউ নারীদের সহযোগিতা করলেও অধিকাংশ পুরুষ নিজের বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা আপন ভূবন নিয়ে ব্যস্ত কিংবা বিশ্রাম নিয়ে থাকে। যদিও নারীরা আগের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে গেছে। নিজের যোগ্যতা বলে অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের ছাড়িয়ে গেছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে আজ নারীদের পদায়ন যোগ্যতার মাপকাটিকে ছাড়িয়ে গেছে। ঘরে যেমন নারীরা সফল তেমনি বাইরেও নারীরা সফল। আগের দিনে নারীদের ঘরের বের হতে দিত না সে পরিবেশ থেকে আমরা বের হয়েছি। সুযোগ পেলে নারীরা নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তার প্রমাণ আমরা আমাদের প্রিয় জন্মভূমির দিকে তাকালে দেখতে পাই। প্রতিটি সংসারের সৌন্দর্য হচ্ছে নারী। নারী পুরুষ উভয়ের সহযোগিতায় পরিবার সুন্দর হয়। শান্তির আবাস হয় সংসার। কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়- কোনোকালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারি/ প্রেরণা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষ্মী নারী। লেখক : শিক্ষক, প্রাবন্ধিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধশব্দ দূষণ বন্ধ করা হোক
পরবর্তী নিবন্ধঝরা ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ