যৌবনে একজন দায়িত্ববান পুরুষ তার সমস্ত শক্তি, মেধা, শ্রম, আদর ভালোবাসা দিয়ে যান সংসারের সকলের জন্য যেমন বাবা, মা, ভাই, বোন, ভাগিনা ভাগিনী, ভাতিজা, ভাতিজি। বিয়ের পর স্ত্রী, সন্তান, স্ত্রী পক্ষের অন্যান্যদেরও কেউ কেউ সহায়তা করেন। ঠিক তেমনি একজন দায়িত্ববান মহিলা শ্বশুর শাশুড়ি, মা, বাবা, ভাই, বোন, ননদ, দেবর, সন্তান, ছেলে বউ, মেয়ে জামাই, নাতি, নাতনি, ভাগিনা ভাগিনী, ভাতিজা ভাতিজি সবাইকে আদর ভালোবাসা, শ্রম, যত্ন, মেধা এমনকি নিজের সাধ্যমত আর্থিক সহায়তাও করে থাকেন। খোঁজ নিলে দেখা যায়, কোনো কোনো বোন, কোনো কেনো ভাবী নিজের গয়না বেচে ভাই কিংবা দেবরকে স্টাবলিসট হতে সহায়তা করেছেন। কিন্তু বাংলার ঘরে ঘরে লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রায়শই এরা যখন বার্ধক্যে যান তখন তাদের দায়িত্ব কেবল ছেলে এবং ছেলে বউয়ের উপর বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে। আর সবাই ভুলে বসে তাদের এক সময়কার প্রাপ্তিটুকু। আমাদের প্রত্যেকের উচিত একজন বৃদ্ধ মানুষ কিভাবে থাকলে তিনি ভালো থাকবেন সে জিনিসটা তাঁদের প্রতিদিনকার আচার আচরণে, কথাবার্তায় আমাদের জেনে নেয়া এবং সেই মোতাবেক সবার দায়িত্ব তাঁদের ভালো রাখা। তাঁরা যদি যৌবনে একজন হয়ে এক সঙ্গে অনেককে ভালো রাখতে পারেন। সেই অনেকে এক হয়ে কেন শুধুমাত্র সেই একজনকে শেষ বয়সে ভালো রাখতে পারবে না? পারে, অবশ্যই পারে। শুধুমাত্র গতানুগতিকতা থেকে বের হয়ে একটু ভাবতে হবে এবং সেই মোতাবেকেই সকলকে কাজ করতে হবে। বাংলার সকল বৃদ্ধ শিশু গণ ভালো থাকুক, আনন্দে থাকুক এই কামনা।