শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আর জনসমাগমে বিধিনিষেধ ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

| শুক্রবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় স্কুল-কলেজে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আর জনসমাগমে বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব এবং বাংলাদেশে এখনকার সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সেখানে বলা হয়, আগের জারি করা সব বিধিনিষেধ ও নির্দেশনার সঙ্গে দুটি শর্ত সংশোধন করে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হল। এই বিধিনিষেধ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সংশোধিত শর্ত দুটির প্রথমটি হল উন্মুক্ত স্থানে ও ভবনের ভেতরে সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তাদের অব্যশই কোভিড টিকা সনদ বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পরীক্ষার সনদ আনতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হল, সব স্কুল-কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
কোভিড মোকাবিলায় এর আগে ২১ জানুয়ারি যে বিধি-নিষেধের প্রজ্ঞাপন হয়েছিল, সেখানে এ দুটি শর্ত ছিল কিছুটা ভিন্ন ভাষায়। সংশোধনে প্রথম শর্তে ‘উন্মুক্ত স্থানে ও ভবনের ভেতরে’ যোগ করে বিধিনিষেধের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় শর্তে বলা হয়েছিল, দেশের সব স্কুল, কলেজ ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সেটি সংশোধন করে এবার ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধের’ কথা বলা হয়েছে, কারণ অনলাইনে ক্লাস ঠিকই চলছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি হলে ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ধাপে ধাপে ছুটি বাড়ানো হয়। সংক্রমণের পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ২৩ জানুয়ারি সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিসসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনের দাপটে এই বছরের শুরু থেকেই ফিরেছে পুরনো বিধি-নিষেধগুলো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধবায়ুদূষণে চট্টগ্রাম নবম