শ্রীমাই খালে নির্মিত হচ্ছে হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম

১৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

পটিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় শ্রীমাই খালের উপর হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক’র চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা যায়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হাইড্রোলিক এলিভেটর নির্মাণের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে। এ কমিটি ২০১৩ সালের ৩ থেকে ৯ মে চীনে অবস্থিত কয়েকটি হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম পরিদর্শন করে।

কমিটি পরিদর্শন শেষে দেশের পার্বত্য এলাকায় পাইলটভিত্তিতে অন্তত দুটি হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণের সুপারিশ করে একটি কারিগরি প্রতিবেদন জমা দেয়। পরবর্তী সময়ে হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণের সম্ভাব্য অবস্থানগুলো পরিদর্শনের উদ্দেশে বিআইসির একটি বিশেষজ্ঞ দলকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ ড্যামের সম্ভাব্যতা যাচাই ও লাভক্ষতি নিয়ে একটি সমীক্ষা প্রদর্শন করা হয়। এতে জানানো হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে। উজানে ধরে রাখা হবে পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চায়না বিশেষজ্ঞ টিমের তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা পাহাড় থেকে সৃষ্ট হয়ে পটিয়ার চাঁনখালী খালে মিলিত হওয়া এ খালের পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এর ত্রিমুখী সুফল মিলবে। জানা গেছে, বর্ষাকালে অতিবৃষ্টিতে শ্রীমাই খালের ঢলের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকার বিভিন্ন ফসল, ঘরবাড়ি ও মাছ চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ড্যাম নির্মাণ করা হলে তা পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে এলাকার দুপাশে বিভিন্ন চাষাবাদ ও রবিশস্যের উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি পটিয়ার ৩টি ইউনিয়নের নদী তীর সংরক্ষণ করে প্রকল্প এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।

প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) এ কে এম ফজলুল হক বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চাষাবাদের পাশাপাশি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, ইকোটুরিজম এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাণ গেল অ্যাম্বুলেন্সের ৬ আরোহীর
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কাস্টমসের ল্যাবে পণ্যের নমুনা জট