শ্রাবণ তুমি বৃষ্টি আজো ভালোবাসো?
তবে একটিবার এসে দাঁড়াও না
পাহাড়ের পিচঢালা পথ ধরে
এপার্টমেন্ট নন্দনকাননের মোড়ে।
আমার আকাশ এতো কাছে, পাহাড় এতো কাছে,
এতোটা কাছে কৃষ্ণচূড়া, আরও কাছে আমার বৃষ্টি।
বারতলা ভবন, ঝুলন্ত বারান্দার একটা দোলনা আমি
উড়ছি আমি উড়ছি মেঘে–মেঘে।
আমাকে গিলে খাচ্ছে ঠাণ্ডা হাওয়ার শিহরণ
আমাকে গিলে খাচ্ছে পাহাড়ের সবুজ কৃষ্ণচূঁড়া
প্রেমিকের প্রথম ছোঁয়ার মতো বৃষ্টির তীব্র ঝাপটা।
আমি যতবার স্নাত হচ্ছি আমাকে বিমোহিত,
আড়ষ্ট করে তুলছে কৃষ্ণচূড়াতলের দীর্ঘ চুম্বন স্মৃতি।
শ্রাবণ আমার বিরহী করুণ দৃষ্টি পড়ে আছে
ভোরের নন্দনকানন মোড়ে–
তুমি একবার এসে বাড়াও দু‘হাত;
মেঘ আমায় ছুঁয়ে আছে শ্রাবণ, হয়তো থাকবে কিছুক্ষণ,
তুমি নিচ্ছ কেন এতোটা সময়?
আমার দোলনচাঁপার তলে তোমার ভেজা বুকের গন্ধ
নেবো আকাশজুড়ে।
শ্রাবণ তুমি আজ–ও বৃষ্টি ভালোবাসতো ?