অক্টোবরের আঠারোতে
জন্মেছে শেখ রাসেল,
ব্যস্ত বাবার ন্যস্ত আবেগ
জোটেনি তার অঢেল।
মায়ের সাথে থাকতো রাতে
মন দিতো সে পাঠে,
দার্শনিকের স্বপ্নে বিভোর
বই–ঘরে বই ঘাটে।
টমির সাথে ভাব ছিল তার
করতো সাথে খেলা,
পায়রা নিয়ে থাকতো পড়ে
সাইকেলে যায় বেলা।
এক সকালে ঘাতক দলের
বুলেট গর্জন এসে,
ঘুম ভেঙে দেয় বুক কাঁপে তার
আর্তনাদে ভেসে।
দু’চোখ মেলে উঠলো রাসেল
দেখলো রক্ত লাল,
ভাবলো বুঝি, আসলো খুঁজি
আমার মরণ কাল।
বাঁচার আশায় দৌড়ে পালায়
পাশের টেবিল তলে,
পাষাণ সেনা মারলো হানা
মেশিন গানের নলে।
করলে গুলি মারলে আমায়
অনেক কষ্ট পাবো,
অবুঝ ছেলে কেঁদে বলে
মায়ের কাছে যাবো।
আসলো কাছে দেখলো নিচে
নিথর দেহের মাকে,
ডাকার আগেই জল্লাদেরা
ছুঁড়লো গুলি তাকে।
মা–বাবা–ভাই, সব মরে হায়
রয় না ঘরের কেহ,
মায়ের বুকেই, নিথর হলো
শেখ রাসেলের দেহ।
সেই যে ছবি, দেয় যে উঁকি,
স্মৃতির ক্ষণে ক্ষণে,
শেখ রাসেলের, জন্যে আজো
দুঃখ বাজে মনে।