শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের চট্টগ্রাম পর্ব

দুদিনব্যাপী আয়োজন উদ্বোধন আজ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩০ মার্চ, ২০২২ at ১২:১০ অপরাহ্ণ

প্রতি বছরের মতো এবারও চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের উদ্যোগে গত ৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ২০২২। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে প্রদর্শনী শেষে উৎসবের সমাপ্তি হতে চলেছে চট্টগ্রামে। ৩০-৩১ মার্চ চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুদিনব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও কর্মশালার মধ্য দিয়ে এবারের উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব চট্টগ্রাম অংশের আহ্বায়ক তানজীল রশীদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ, উৎসব পরিচালক শাহরিয়ার আল মামুন, মুঈদ হাসান তড়িৎ, ফারিহা জান্নাত মীম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ ও আগামীকাল সকাল ১০টা ও দুপুর ২টায় প্রদর্শনী রয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উৎসব উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ। উপস্থিত থাকবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ। বিকাল ৩টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে কর্মশালা নেবেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। উৎসবে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৫ মার্চ থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামীর স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে ঢাকা বিভাগের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগটি। এবারও ‘ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট’ শীর্ষক বিভাগটি রয়েছে; যেখানে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতারা অংশ নিয়েছেন। একই সাথে রয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগ। এ বিভাগে জমা পড়েছিল ৯০টি দেশের ২১০০ চলচ্চিত্র। এর মধ্য থেকে উৎসব কমিটির দ্বারা প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশসহ ৩৮টি দেশের ১১৭টি চলচ্চিত্র; যার মধ্য থেকে চট্টগ্রামে ১২টি দেশের ১৫টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে। এছাড়া বিশেষ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বিভাগে চট্টগ্রাম বিভাগের নির্মাতাদের নির্মিত ৫টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে।
এবার সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কন্ট্রোলার অফ সার্টিফাইং অথরিটিজ (সিসিএ)। পাশাপাশি সহযোগিতা করছে অর্থ, তথ্য, আইসিটি, সংস্কৃতি, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ, আলিয়ঁস ফঁ্রসেজ, ডুগডুগি মিডিয়া ও সময় টেলিভিশন। লোকাল অর্গানাইজার অগ্রগাহী ফাউন্ডেশন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশঙ্খের চরে মাটি কাটা বন্ধ করল পুলিশ
পরবর্তী নিবন্ধবরেণ্য শিক্ষাবিদরা ভিসি হতে চান না : শিক্ষামন্ত্রী