আজাদীর ৬২ বছর পথ পরিক্রমায় আজাদী পরিবারের সকলকে জানাই অভিনন্দন ও শুভ কামনা। চট্টগ্রামবাসীর প্রিয় একটি পত্রিকা এই আজাদী। প্রতিটি মানুষের সাথে আজাদীর সম্পর্ক বহু পুরনো, বহু বছরের এক কথায় বলতে গেলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের। খুব ছোটবেলায় দেখেছি নানা নামাজ আদায় করে এই পত্রিকা নিয়ে বসে যেতেন। দাদাকেও দেখতাম নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকেই নিকটস্থ চায়ের দোকানে পত্রিকাখানা পড়েই তবে তাঁর ঘরে ফেরা। এরপর আব্বু আম্মু কলেজে যাওয়ার আগে কিছু না হোক পত্রিকার শিরোনাম হলেও পড়ে যেতেন। পরে সম্পূর্ণ পড়তেন বাসায় ফিরে। আর এখন অবসর জীবনের অন্যতম বন্ধু কিন্তু এই পত্রিকা, আজাদী। আমার শাশুড়ী যিনি একজন চমৎকার ও মনোযোগী পাঠক এই পত্রিকার। কোন খবর আমাদের দৃষ্টিতে না পড়লেও তাঁর দৃষ্টি এড়ায় না। ছেলেরাও কিছু কিছু খবর পড়ে যেমন কৌতুক, আগামীদের আসর, খেলার টুকটাক খবর। ওরা আন্তরিকতা ও মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। করোনার এই সময়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে স্বাভাবিক জীবন যাপনে। পত্রিকাও বাদ পড়েনি তা থেকে। যারা নিয়মিত পাঠক তারা কিন্তু থেমে থাকেনি, কোন না কোন উপায়ে পত্রিকা পড়েছে। কাগজের পত্রিকা যেভাবে মনের ক্ষুধা মেটায় তা আর কোন কিছুতেই পাওয়া যায় না। জীবনের প্রতিটা পরতে পরতে, ক্ষুদ্র, বৃহৎ ঘটনায় মানুষের হৃদয় জুড়ে আছে এই পত্রিকা আজাদী। বিশ্বের যে প্রান্তেই চট্টলা বাসী থাকুক না কেন তারা আজাদী পড়বেই। আমরা গর্ব করে বলতে পারি, মাথা উঁচু করে বলতে পারি আজাদী আমাদের পত্রিকা, আমাদের চট্টগ্রামের পত্রিকা। আঁরা চাটগাঁইয়া। আজাদীর এই পথচলা সুন্দর, আনন্দময়, সফল ও সমৃদ্ধময় হোক। পাঠক হৃদয়ের এই আবেদন বিধাতার কাছে।