শিল্প ও সৃজনী

মায়া চক্রবর্তী | শুক্রবার , ২ জুলাই, ২০২১ at ৭:০৩ পূর্বাহ্ণ

শিল্পের উৎকৃষ্ট উদাহরণ, সৃজনশীলতা। শিল্প ও সৃজনী, কর্ম জীবনের অবিচ্ছেদ্য ও ঈর্ষণীয় দিক। এ আবেদন যুগে যুগেও ফুরায় না। কেন আমরা বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ পড়ি? আবার পিকাসো, জয়নুল, কামরুল, সুলতান, কাইয়ুমদের জন্য আবেগে উচ্ছ্বাসিত হই! আমাদের বোধগম্য হউক বা না হউক এদের আবেদন সর্বজনীন বলে। একটি জাতির মানসিক সুস্থতার জন্য শিল্পের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। শিল্প সংস্কৃতির নামে বিকৃতিপূর্ণ উপস্থাপনা কতটা ক্ষতি ও বিপজ্জনক তার জাজ্বল্যমান প্রমাণ আমরা প্রতিনিয়ত পাচ্ছি। শিল্পবোধহীনদের আধিপত্য, রুচির অবনতি, তরুণ সমাজের অধঃপতন চতুর্দিকে প্রকটভাবে প্রতিফলিত, এক কথায় মনোবিকলন। হাতের মুঠোয় মিউজিক ভিডিও, সিনেমায় দূষিত কামের অত্যাচার, চারিদিকে অশান্ত প্রবৃত্তির উন্মত্ত আসক্তি ও রুচিহীন বিকৃিতর পাকে মর্মভেদী সুর। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ একমাত্র শুদ্ধ শিল্প ও সংস্কৃতির সৃজনশীলতা। এর সৎসঙ্গ ব্যতীত কোন জাতি টিকে থাকা যেমন দুষ্কর! তেমনি তা লালনে আত্মপরিচয় ও গৌরব বাড়ে। সুতরাং চরিত্রের মত শিল্প ও সৃজনশীলতার রুচিতে মানুষ মনোযোগী না হলে প্রকৃত উন্নতি অসম্ভব। অতএব শুভবুদ্ধি জাগ্রত হউক, সমস্ত দায়িত্ব ভার কাঁধে নিয়ে আমাদের গণমাধ্যম সহযোগে শিল্পরুচির সোপানমার্গে পৌঁছাতে হবেই, এটাই একমাত্র উপায়, এ আমাদের অন্তর্গত অস্তিত্বের এক মাত্র আশ্রয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশহরের মায়া ছেড়ে পুরোনো ঠিকানায়
পরবর্তী নিবন্ধশিশুর সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে