কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সারা বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশ্বব্যাপী ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০ কোটি এবং বাংলাদেশে প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে করোনা অতিমারিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। শিক্ষার্থীদের পাঠ কার্যক্রম সচল রাখতে অনলাইন ক্লাস চালু করা হলেও তাতে প্রাইভেট ও পাবলিক উভয় ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ ছিল শতকরা ৫০ ভাগ শিক্ষার্থীর। এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরে পড়া ও এর থেকে পরিত্রাণে করণীয় নিয়ে ‘ইনিশিয়েটিভস টু প্রিভেন্ট ড্রপ আউট ইন এডুকেশন’ শীর্ষক সরাসরি ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন উপরোক্ত বক্তব্য দেন। এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাবের সঞ্চালনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সমপ্রচারিত হওয়া ভার্চুয়াল আলোচনায় সূচনা বক্তব্য রাখেন এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের মানসম্পন্ন শিক্ষা কর্মসূচির উপদেষ্টা ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. ডেভ ডোল্যান্ড।
প্যানেল আলোচক ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান, চুয়েটের অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইশরাত জাহান, প্রশিক্ষক শামসুদ্দীন শিশির, নাসিমুল গণি, ড. শারিন শাহজাহান নওমি, নজরুল ইসলাম, সোহেল আক্তার খান, মুহাম্মদ ইবরার, শিমুল কান্তি মহাজন, কামরুল হাসান, ফারহানা বারী, সাদিয়া সাবরিনা তান্নি, মনির খান, মোহাম্মদ আরমান প্রমুখ।
ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, ঝরে পড়া থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় শিক্ষকদের সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। দারিদ্রতা নিরসন, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সকলের সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা শিক্ষা ক্ষেত্রে ঝরে পড়া রোধ করতে পারে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।