আমার কাঁধে আর কোনো
শিশুর নরম হাত ঝুলবে না,
আমার পিঠে আর কোনো
চেনা বোঝা দাগ কেটে যাবে না।
সিন্দুকে গুটানো বাসনা
দৈনিক বুলেটিনের মত
ধুলো হয়ে উড়ে যায় বাতাসে,
রুক্ষ বালিয়াড়ির পাঁজরে।
আমার সামনে কেবল তুমি
প্রসাধনহীন, অবসন্ন
স্বপ্নের ভগ্নস্তূপে দাঁড়িয়ে,
আলোর শেষ জলছাপ হাতে।
এইসব সমাধির ঘাসে
বৃষ্টি জমে থাকে ঘাসের কোণে,
শেকড়ের সিরিশ–জিহ্বায়
ভিজে ওঠে গোপন গল্প।
দ্যাখো, কী ফুটেছে!
রক্ত মাখা জংলী গোলাপ?
না কি প্রতিশ্রুতির প্রগাঢ় শালুক?
এই মৃত মাটি থেকে
তুলে নিও শেষ প্রার্থনার কুসুম।