শাহাদাত দিপুর ব্যাটিং দৃঢ়তার পরও পিছিয়ে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ২৫ মে, ২০২৩ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিনেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে চট্টগ্রামের ছেলে শাহাদাত হোসেন দিপুর দৃঢ়তায় ২৩৭ রান করতে পেরেছিল স্বাগতিকরা। তবে জবাবটা ভালই দিচ্ছে সফরকারীরা। দ্বিতীয় দিনশেষে ৩১ রানের লিড হয়েছে গেছে ক্যারিবিয়ানদের। উইকেট আছে ৪টি। সিলেটে দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ ‘এ’ দল প্রথম ইনিংসে অলআউট ২৩৭ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দিন শেষ করে ৬ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে। আগের ম্যাচে ৮৬ রানের ইনিংস খেলা ওপেনার কার্ক ম্যাকেঞ্জে এ ম্যাচেও তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে এবারও কাছে গিয়ে সেঞ্চুরি পাননি তিনি। ১২২ বলে করেন ৯১ রান। রান আউট হওয়া কার্টি করেন ৬৮ রান।

দিনের শুরুটা হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং দিয়ে। আগের দিনের ৫ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিকরা যোগ করতে পারে আর কেবল ৫২ রান। সেটিও মূলত শাহাদাত হোসেনের সৌজন্যে। তার একার ব্যাট থেকেই আসে এ দিন ৪৫ রান। সব মিলিয়ে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। শাহাদাতের সঙ্গে দিন শুরু করা নাঈম হাসান আউট হয়ে যান দিনের শুরুতেই। করেছেন ১৭ রান। আগের দিন আঙুলে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়ে যাওয়া সাদমান ইসলাম ব্যাটিংয়ে নামেন আবার। তবে এই ওপেনারও পারেননি সুবিধা করতে। আকিম জর্ডারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনি। জর্ডারের পরের ওভারেই ফিরেন তানজিম হাসান সাকিবও। শাহাদাতকে এ দিন কিছুটা সঙ্গ দিতে পারেন কেবল তানভির ইসলাম। শেষ পর্যন্ত ম্যাকঅ্যালিস্টারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় দিপুর লড়িয়ে ইনিংস। পরে তানভির ইসলামকে বোল্ড করে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজের ৫ উইকেট পূর্ণ করেন জর্ডান।

জবাব দিতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ধাক্কাটা দেন খালেদ। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন তেজনারাইন চন্দরপল। করেন ৪ রান। সেই ধাক্কা দ্রুতই সামাল দেন কার্ক ম্যাকেঞ্জি ও রেমন রিফার। ম্যাকেঞ্জি তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ১১৬ রানের জুটি ভাঙেন তানভির। ৩৭ রান করে বিদায় নেন রিফার। চাবিরতির আগেপরে সাইফ হাসানের জোড়া উইকেটে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। এই অফ স্পিনারকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে ম্যাকেঞ্জি চার মারার পর ফিল্ডার সীমানায় রাখেন অধিনায়ক আফিফ। চা বিরতির আগে ৯১ রান করা ম্যাকেঞ্জিকে ফেরান সাইফ। বিরতির পর ব্র্যান্ডন কিং ফিরতি ক্যাচ দেন সাইফ হাসানকে। আগের ম্যাচের মতোই শূন্য রানে ফিরেন তিনি। ক্যারিবিয়ানদের রান তখন ৪ উইকেটে ১৩৯। আলিক আথানেজ ও কেসি কার্টি পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেন ৭৯ রান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এই জুটি ভাঙেন নাঈম। তিনি ফেরান ৪৫ রান করা আথানেজকে। এরপর জশুয়া দা সিলভার সঙ্গে কার্টির জুটিও জমে উঠছিল। এরই মধ্যে কার্টি তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে রান আউট হয়ে ফিরেন ৬৭ রান করে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২৬৮ রান করে দিন শেষ করে ক্যারিবীয়রা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ভালো করতে পারেননি কেউই। ২ উইকেট শিকার করেছেন কেবল সাইফ হাসান। যিনি মূল বোলার নন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগানিস্তান সিরিজ নিয়ে বেশ সতর্ক বাংলাদেশ দল
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১৫.০১ কোটি টাকা