শাশুড়িকে হত্যার পর ৬ টুকরো করে মাটিচাপা

রামুতে পুত্রবধূ গ্রেপ্তার

রামু প্রতিনিধি | সোমবার , ১৮ জুলাই, ২০২২ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার রামুতে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে শাশুড়িকে হত্যা করেছে পুত্রবধূ। হত্যার পর মরদেহ ৬ টুকরো করে বস্তায় ভরে মাটি চাপা দেওয়া হয়। গত শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী হাজির পাড়া এলাকায় নৃশংস এ ঘটনাটি ঘটে। গতকাল রোববার সকালে বাড়ির উঠান থেকে নিহতের ৬ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। হতভাগা ওই শাশুড়ির নাম মমতাজ বেগম (৬০)। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে নিহতের ছেলে বাড়ির পাশে টিউবওয়েলে গেলে পাশে নতুন খোঁড়া মাটি দেখতে পায়। অল্প মাটি খোঁড়েই তার মায়ের শাড়ি দেখে স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে রামু থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটিচাপা অবস্থায় নিহত মমতাজ বেগমের লাশ উদ্ধার করে।

অভিযুক্ত রাশেদা বেগম জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় তার শাশুড়ি তাকে দা নিয়ে কোপাতে আসে। এতে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ওই ধারালো দা নিয়েই শাশুড়িকে গলায় কোপ দেন তিনি। পরে মৃত্যু হলে ৬ টুকরো করে লাশ বস্তায় ভরে বাড়ির উঠানে মাটি চাপা দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন বলেন, নিহত মমতাজ বেগমকে কেটে ছয় টুকরো করা হয়েছে। দেহ থেকে মাথা, দুই হাত ও দুই পা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পরে বস্তাবন্দি করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। তবে তার ধারণা, একা একটি মেয়ের পক্ষে একজন মানুষকে ছয় টুকরো করে মাটি চাপা দেওয়া সম্ভব নয়। নিহতের ছেলে আলমগীর জানান, সকালে টিউবওয়েলে গেলে পাশে নতুন মাটি দেখতে পাই। এতে সন্দেহ হলে অল্প একটু মাটি খুঁড়লেই মায়ের শাড়ি বের হয়ে আসে। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হলে তারা পুলিশে খবর দেয়। তিনি বলেন, আমার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া ছিল ঠিক কিন্তু এভাবে হত্যা করবে এটা বিশ্বাস করতে পারিনি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রামু থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। হত্যাকারী রাশেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএসএসসি শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর এইচএসসি নভেম্বরে
পরবর্তী নিবন্ধ৫৫ লাখ টাকায়ও সারেনি এমআরআই মেশিন