ইউক্রেনে বিদেশি হস্তক্ষেপ হলে বিদ্যুৎ গতিতে জবাব

| শুক্রবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২২ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

 

কোনো দেশ ইউক্রেনের যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করলে ‘বিদ্যুৎ গতির’ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার সেইন্ট পিটারবুর্গ শহরে রাশিয়ার আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাইরের কেউ ইউক্রেনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলে এবং রাশিয়ার জন্য কৌশলগত হুমকি সৃষ্টি করলে আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে বিদ্যুৎ গতির। যে কারও গর্ব থামিয়ে দেওয়ার মতো সব সরঞ্জাম আমাদের আছে। আর আমরা এগুলো নিয়ে বড়াই করব না, প্রয়োজন হলে ব্যবহার করবো।

 

প্রতিক্রিয়াগুলো কী হবে তার সব সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে নেওয়া হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি।

এসব মন্তব্যের মাধ্যমে পুতিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে ধারণা পশ্চিমা বিশ্লেষকদের। ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহের পদক্ষেপ জোরদার করেছে আর ইউক্রেনে যেন রাশিয়াকে পরাজিত করতে পারে তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার জার্মানিতে এক সম্মেলনে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরদিন পুতিন হুঁশিয়ারি জানালেন।

 

ওই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন যুদ্ধে ইউক্রেনের জয় নিশ্চিত করতে ‘কঠোর পরিশ্রম’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর জার্মানির সরকার তাদের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটিয়ে ইউক্রেনকে প্রায় ৫০ টি বিমানবিধ্বংসী ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের মিত্রদের যুদ্ধে হস্তক্ষেপের আওতা বাড়ানো নিয়ে সতর্ক করতেই পুতিন এমন হুমকি দিয়েছেন বলে ধারণা পশ্চিমা বিশ্লেষকদের। পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দনবাসে অভিযান চালাতে গিয়েও বাধার মুখে পড়ছে রাশিয়ার বাহিনীগুলো।

ইউক্রেনের রাজধানী কিইভ ও এর আশপাশ থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর দনবাস নিয়ন্ত্রণে নিতে গত সপ্তাহে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু পশ্চিমা এক কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনীয়দের কঠোর প্রতিরোধের মুখে রাশিয়ার বাহিনীগুলো দেখছে ‘বিষয়টি সহজ নয়’ আর তারা ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ছে।

আরেক দিকে মস্কো বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পর এক মন্তব্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, রাশিয়া গ্যাস নিয়ে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লায়েন বলেছেন, এতে সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার ‘অবিশ্বস্ততা’ ফুটে উঠেছে। অপরদিকে ক্রেমলিন বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলোর ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপের’ কারণে রাশিয়া এমনটি করতে বাধ্য হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলড়ে যাওয়ার অঙ্গীকার মারিউপোলে আটকা ইউক্রেনীয় যোদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধশুক্লা ইফতেখারের দীর্ঘদিন বৃষ্টিহীন