পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী এক লেগুনার (হিউম্যান হলার) তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লিঙ্গুয়েস্টিক বিভাগের মার্স্টাসের শিক্ষার্থী শায়েলা আকতার (২৫) গুরুতর আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রাত সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় তার অপারেশন চলছিল। এর পাঁচ ঘণ্টা আগে অপারেশন শুরু হয়।
জানা গেছে, সকাল ১১টার দিকে কূলগাঁও সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে শায়েলাদের বহনকারী গাড়িকে ধাক্কা দেয় পুলিশের একটি গাড়ি। পুলিশের ওই গাড়িতে ছিলেন বায়েজিদ থানার এএসআই আশরাফুল। দুর্ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে কোনো সহযোগিতা না করার অভিযোগ উঠে এ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
শায়েলার স্বজনরা জানান, দুর্ঘটনার পর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে এলে অবস্থা গুরুতর হতো না। শায়েলার বন্ধুরা খবর পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে জানার জন্য গত রাতে এএসআই আশরাফুলকে কল দিয়ে দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যস্ততার অজুহাতে কল কেটে দেন তিনি। এ সময় তিনি আজাদীকে বলেন, ব্যস্ত আছি। একটু পরে কথা বলি। এর আধাঘণ্টা পর কল দিলেও রিসিভি করেন তিনি। এ বিষয়ে জানার জন্য কল দিলে রিসিভ করেননি বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, শায়েলা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের ভাতিজী। তার পিতা মুহামম্মদ এরশাদুল ইসলাম।