লেখালেখির রাজধানী হতে পারে চট্টগ্রাম

সাহিত্যচর্চা : প্রান্ত থেকে কেন্দ্রে শীর্ষক অনুষ্ঠানে আনিসুর রহমান

| মঙ্গলবার , ৫ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

বাঙালি-সুইডিশ কবি, অনুবাদক ও সাহিত্য প্রশিক্ষক আনিসুর রহমান বলেছেন, দেশে দেশে প্রান্ত থেকে উঠে এসে অনেকে লেখালেখিতে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছেন। এরকম অনেক নজির রয়েছে আমাদের দেশেও। একইভাবে অনেক প্রান্তিক জনপদও বই এবং বইয়ের পেছনের মানুষদের ধারণ করে সাহিত্যের রাজধানীর মর্যাদা লাভ করেছে। নতুন আরেক উপদ্রব শুরু হয়েছে। সেটা হলো- পড়ুক আর না পড়ুক এখন সবাই লেখক। যে কারণে এখন প্রকৃত একজন লেখককে তুলে আনার তেমন সুযোগ অবশিষ্ট নেই। কেন্দ্র থেকে প্রান্ত সব এখন আমলাতন্ত্রের দুয়ারে দুয়ারে। এর থেকে উত্তরণের পথ প্রান্ত থেকেই আসতে পারে। যে প্রত্যয়ে থাকবে লেখালেখির প্রতি জীবনপণ দায়বদ্ধতা। এই প্রত্যয়ে সূর্য সেন আর প্রীতিলতার চট্টগ্রাম হতে পারে লেখালেখির রাজধানী বা ইউনেস্কো সাহিত্যনগরী। মনোযোগটা চাই লেখালেখি ঘিরে দৃশ্যমান পরিকাঠামো যেমন পত্রপত্রিকা, গ্রন্থাগার, প্রকাশনা, উৎসব, সভা সেমিনার, পাঠচক্রসহ বহুবৈচিত্র্যময় লাগসই উদ্যোগ।
তিনি গত ৩১ মার্চ চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে ‘সাহিত্য চর্চা : প্রান্ত থেকে কেন্দ্র্থে শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন। কবি সুজন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর রীতা দত্ত ও ড. উদিতি দাশ সোমা। বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, শৈলী সাহিত্য বুলেটিনের সম্পাদক কবি আজিজ রাহমান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক রাশেদ রউফ। অনুষ্ঠানে কাসেম আলী রানা সম্পাদিত ‘ছড়াশৈলী’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, জসীম মেহবুব, শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীল, গল্পকার দীপক বড়ুয়া, কবি আবুল কালাম বেলাল, নজরুল জাহান, লায়ন জাহাঙ্গীর মিঞা, কবি অমিত বড়ুয়া প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনগণের জন্য সরকারের কোনো দরদ নেই
পরবর্তী নিবন্ধআন নূর হিফ্‌জুল কোরআন মাদরাসায় পাগড়ী প্রদান