রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে ধান, সবজি

সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ না থাকার অভিযোগ

টেকনাফ প্রতিনিধি | শনিবার , ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফেলা বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে কয়েকশ একর জমির ধান ও শাকসবজি। এতে প্রতি বছর জীবিকা হারাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। তাদের দাবি, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য ভেসে এসে নষ্ট হয়েছে উখিয়ার ৫০০ একরের বেশি জমির পাকা ধান। তাছাড়া শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ তাদের। তবে ব্যবস্থা নেওয়ার এবং ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।

উখিয়ার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া এলাকার কৃষক মোহাম্মদ সালাম চলতি মৌসুমে ৫ একর জমিতে ধান চাষ করেছেন। ফসলও ভালো হয়েছিল। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য ভেসে এসে শেষ করে দিয়েছে জমির পাকা ধান। সময়ে সময়ে ক্যাম্পের নালা উপচে ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ছে মানববর্জ্য। সে সঙ্গে আছে প্লাস্টিক, পলিথিন ও মেডিকেল বর্জ্য। এ কারণে হুমকিতে জমির ধান আর সবজি ক্ষেত। অনেক জমিতে বর্জ্য জমে পচে গেছে ধান। এভাবে প্রতি বছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে চরম লোকসানে পড়তে হচ্ছে এখানকার কৃষকদের।

প্রশাসনকে জানিয়েও সমস্যার সমাধানে কিংবা কৃষকদের ক্ষতিপূরণে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি বলে জানান কক্সবাজার উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের দাবিদ্রুত সময়ের মধ্যে এ বর্জ্য আসা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া ড্রেন নির্মাণ করতে হবে ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের আওতায় আনতে হবে।

এদিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা জানান, সমস্যা সমাধান এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে কি ধরনের সহযোগিতা করা যায় তা ভাবা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের দাবি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে উখিয়া উপজেলায় ৫০০ একরের বেশি ফসলি জমি ও সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা দিয়ে ৩শর বেশি কৃষকের জীবিকা নির্বাহ হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধশৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে, পড়বে ঘন কুয়াশা