আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী– আগামী রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে পারে। তবে এর অগ্রভাগ আগের দিন (শনিবার) রাতেই বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করতে পারে। মোখার প্রভাবে উপকূল ও অন্যান্য স্থানে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে– ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে বাংলাদেশেরও যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এমন পূর্বাভাসে দুশ্চিন্তা ভর করেছে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে। কারণ, ওই দিন (১৪ মে) চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চলমান এসএসসি ও সমমানের তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী ১৪ মে (রোববার) বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান, মানবিক বিভাগের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিন বিষয়ের পরীক্ষাই সকাল দশটা থেকে শুরুর কথা রয়েছে।
এদিকে, ট্রেজারি, থানা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে রাখা পরীক্ষা সংক্রান্ত সব গোপনীয় মালামাল নিরাপদ ও সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণের জন্য কেন্দ্র সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষাবোর্ড। তবে রোববারের (১৪ মে) অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ গতকাল রাত পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি। পূর্বাভাস অনুযায়ী ওইদিন (১৪ মে) ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানলে ঘূর্ণিঝড়ের মুখে সন্তানদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো নিয়ে দ্বিধা–দ্বন্দ্বে রয়েছেন অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার গতকাল রাতে আজাদীকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত খবরা–খবরে আমরা নজর রাখছি। এরইমাঝে ট্রেজারি, থানা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে রাখা পরীক্ষা সংক্রান্ত সব গোপনীয় মালামাল নিরাপদ ও সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণের জন্য কেন্দ্র সচিবদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। রোববারের পরীক্ষার বিষয়টি নিয়েও আমরা কনসার্ন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সাথে আমাদের আলোচনা চলছে।
তবে রোববারের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে এখনো অনেকটা সময় আছে বলে আমরা মনে করছি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনে শুক্রবার বা শনিবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার।