রেফার কন্টেনারের সংকট মৎস্য রপ্তানি ব্যাহত

বাণিজ্য ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্বেগ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বিশেষায়িত রেফার কন্টেনার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশেষ ধরণের এই কন্টেনারের সংকটের কারণে দেশের হিমায়িত মৎস্য ও চিংড়ি রপ্তানি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম বৃহৎ এই খাতে দেখা দেয়া সংকট নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ রেফার কন্টেনার বন্দর অভ্যন্তর হতে দ্রুত অফডকে স্থানান্তর করার তাগাদা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, হিমায়িত মৎস্য এবং ফলমূলসহ বিভিন্ন পচনশীল পণ্য বিশেষ ধরনের কন্টেনারে পরিবহন করা হয়। ফ্রিজের সুবিধা সম্বলিত এই কন্টেনার রেফার কন্টেনার নামে পরিচিত। বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার বিশেষ স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখা হয়। করোনাকালে বিশ্বের শিপিং সেক্টরে কন্টেনার সংকটের পাশাপাশি রেফার কন্টেনারের অভাব প্রকট হয়ে উঠে। রেফার কন্টেনারের অভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান খাত হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিতে বড় ধরণের সংকট তৈরি হয়েছে। ১০/১৫ দিন চেষ্টা করেও একটি রেফার কন্টেনার যোগাড় করতে পারছেন না বহু রপ্তানিকারক। রেফার কন্টেনারের সংকট হিমায়িত চিংড়িসহ মাছ রপ্তানিকারকদের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট জরুরি পত্র দিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে বন্দর থেকে খালি রেফার কন্টেনার দ্রুত অফডকে প্রেরণের ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ কন্টেনার শিপিং এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বরাবরে জরুরি পত্র দিয়েছে। গতকাল দেয়া পত্রটিতে বলা হয়েছে যে, হিমায়িত চিংড়ি এবং মাছ রপ্তানি গতিশীল রাখার স্বার্থে যাতে রেফার কন্টেনারের স্বল্পতা সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে মালামাল ডেলিভারি হওয়ার পর খালি রেফার কন্টেনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্দরের অভ্যন্তর হতে অফডকে স্থানান্তর কিংবা চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানিকারকদের নিকট দ্রুত সরবরাহ করা জরুরি। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও বন্দর কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানায়।
মাছ রপ্তানিকারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গতকাল দৈনিক আজাদীকে জানান, রেফার কন্টেনারের অভাবে আমরা সময়মতো রপ্তানি করতে পারছি না। অনেক দেন-দরবার করেও অনেক সময় একটি রেফার কন্টেনার যোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। বাড়তি ভাড়া দিয়েও মিলছে না কন্টেনার। পরিস্থিতি অনুধাবন করে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি সংকট সুরাহায় বিশেষ এই উদ্যোগের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। সংকট ঘুচলে দেশের অর্থনীতি লাভবান হবে বলেও মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মন্তব্য করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধকোর্ট হিল নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ করছে জেলা প্রশাসন