পাহাড়, টিলা ও সমতল ভূমি নিয়ে গঠিত পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। অনুকূল আবহাওয়া ও মাটির ভূপ্রাকৃতিক গঠন চাষের উপযোগী হওয়ায় সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে বাড়ছে রেড লেডি জাতের পেঁপের চাষ। দীঘিনালা উপজেলার ভৈরফায় রেড লেডি জাতের পেঁপে উৎপাদন করছেন কৃষক কৃপাময় চাকমা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি পেঁপে গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে ২০ থেকে ৩০টি পেঁপে।
কৃপাময় চাকমা বলেন, ৯ মাস আগে এক একর ভূমিতে সাড়ে ৬শ রেড লেডি জাতের পেঁপে গাছ রোপণ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। এখন ফলন পাচ্ছি। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার টাকার পেঁপে বিক্রি হয়েছে। অন্তত ৩ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
কৃপাময় চাকমার সাফল্যে রেড লেডি জাতের পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়েছেন একই এলাকার জনাতন চাকমা, কালাইয়া চাকমাসহ বেশ কয়েকজন। চাষীরা জানান, প্রতি ২ গ্রাম বীজের দাম সাড়ে ৬শ টাকা। এছাড়া এটি বেশ ব্যয় বহুল চাষাবাদ। সরকারিভাবে প্রণোদনা পেলে রেড লেডি চাষে কৃষকরা আরো আগ্রহী হত।
বর্তমানে ৪৫ টাকা কেজি দরে রেড লেডি জাতের পেঁপে কিনছে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বাজারে খুচরা বিক্রি হয় ৬৫ টাকা দামে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, রেড লেডি জাতের পেঁপে সরাসরি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন সুপারশপে যায়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা যায়, রেড লেডি জাতের পেঁপে অত্যন্ত সুস্বাদু। চারা রোপণের ৭ থেকে ৯ মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। এক একটি পেঁপের গড় ওজন প্রায় দেড় থেকে দুই কেজি।
দীঘিনালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওঙ্কার বিশ্বাস বলেন, পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রেড লেডি চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষকরা। দেশীয় পেঁপের তুলনায় এর উৎপাদন বেশি। ফলে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। প্রতি বছর ২ হেক্টর করে রেড লেডি জাতের পেঁপের আবাদ বাড়ছে বলে জানান তিনি।
