রেকর্ড রান তুলে রেকর্ড ব্যবধানে জয়

আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারাল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ১৯ মার্চ, ২০২৩ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তামিম বাহিনী। বাংলাদেশ ৫০ রানে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করেছিল। জয়ের সে ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশে সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও। গতকাল শনিবার সিলেটে রেকর্ড গড়া জয়ে টাইগাররা ১৮৩ রানে হারিয়েছে আইরিশদের।

প্রথমে ব্যাট করে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তুলে রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। ৩৩৯ রানের পর্বত সমান লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫৫ রানে অলআউট হয়ে বাংলাদেশের কাছে ১৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে আইরিশরা। বাংলাদেশের সংগ্রহটা যেমন ছিলো সর্বোচ্চ তেমনি জয়টাও তারা পেয়েছে ওয়ানডে ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ ব্যবধানে।

সিলেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান আর তাওহিদ হৃদয়ের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৩৩৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করলেও টাইগার বোলারদের তোপের মুখে ১৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি আইরিশরা। রেকর্ড জয়ে ১০ ব্যবধানে এগিয়ে সিরিজ শুরু করলো তামিম ইকবালের দল।

প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট হারানো ছাড়াই পার করে দেয় দুই আইরিশ ওপেনার। ১২তম ওভারে এসে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। ৬০ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। প্রথম উইকেট হারানোর পরই আর নিজেদের ধরে রাখতে পারেনি আইরিশরা। অনেকটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। ১০৯ রানে ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ৪৭ বলে ৪৫ রান করা ডকরেলকে ফিরিয়ে আইরিশদের ১৫৫ রানেই অলআউট করে এবাদত। আর তাতেই নিশ্চিত হয় টাইগারদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের ওয়ানডে জয়। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন, আর নাসুম আহমেদ নিয়েছেন ৩টি উইকেট।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মার্ক আডইয়ারের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান ৯ বলে ৩ রান করা অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার লিটন দাস। কিন্তু দুজনের কেউই পারেননি ইনিংস লম্বা করতে। ৮১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। সাকিব আল হাসান ৩৫তম ওভারে হ্যারি টেক্টরের ছয় বলের পাঁচটিতেই চার মেরে নিয়েছেন ২২ রান। ৯ চারে ৮৯ বলে ৯৩ রান করে গ্রাহাম হিউমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাকিব। তৌহিদের সাথে ১২৫ বলে ১৩৫ রানের জুটি ছিল তার। এরপর ক্রিজে এসে ‘ক্যারিয়ার বাঁচানোর লড়াই’য়ে উতরে যাওয়ার মতো এক ইনিংস খেলেন মুশফিক। সাত নম্বরে নেমে ৩ চার ও সমান ছক্কায় ২৬ বলে ৪৪ রান করেছেন তিনি। পরের পুরো আলোটাই ছিল তাওহিদ হৃদয়ের দিকে। দুর্দান্ত খেলতে থাকা এই ব্যাটার পেতে পারতেন সেঞ্চুরির দেখা। তিন অঙ্কের দেখা পেলে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করার কীর্তি হতো। কিন্তু কেবল ৮ রানের জন্য সেটি করতে পারেননি তিনি। হিউমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তাওহিদ। ৮ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৮৫ বলে ৯২ রান করেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে চার উইকেট নেন গ্রাহাম হিউম। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের তাওহিদ হৃদয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাহি গ্রেপ্তার, সাড়ে ৫ ঘণ্টা কারাবাসের পর মুক্ত
পরবর্তী নিবন্ধদুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাইলফলক